Posts

কবিতালেখা

 কবিতালেখা নিখিলবিশ্বাস বাংলাদেশের জল হাওয়া এমন কবিতা সেখানে ফলতেই থাকে শস্য বা আগাছা যখন যেমন ৷ স্বভাব কবি অযত্নে বেড়ে ওঠে পরিচর্যা পেলে কখনও হয়ে ওঠে সত্যিকার বড় কবি ৷ পরিশ্রম চেষ্টা ছাড়া কোন মহৎ কাজ হয়নি কখনও যতই প্রতিভা থাক এর  নেই অন্য বিকল্প ৷ অনেকেই আছেন রোজ কবিতা লেখেন কতগুলো শব্দ এলোমেলো সাজিয়ে দিয়েই ভাবেন বেশ কবিতা হয়েছে, .মাউসে ক্লিক করে এইবার ডটকমের আকাশে একে দাও ছুঁড়ে ৷ তারপরেই সুরু করেন পরবর্তী কবিতা রোজ দুটো কি তিনটে অবশ্যই লেখা চাই । তাতে না ছন্দ না কোন ভাষার বুনট ৷ কেউ লেখে মনষামঙ্গল কেউ চৈতন্য চরিত কেউ লেখে চর্যাপদ ভীষণ গম্ধীর । শব্দের ও প্রাণ আছে তাকে সমীহ করো তাকে দাও যথার্থ সন্মান ৷ আধুনিক কবি কিছু এলোমেলো শব্দ নিয়ে ভাঙা চোড়া লোফালুফি করতে করতে কিছু রূপক কিছু চিত্রকল্প গেঁথে দেন কিছু চমকায় কবিতায় কিছু থেকে যায় কবির মাথায় । কখনও সার্থক হয় কখনও কিম্ভূত ৷ তার একটাই চেষ্টা কি করে ঢাকবে তাকে, কবিতার অবয়ব,জীবন যৌবন যেন প্রকাশ্যে না আসে । পাঠকের মনে যদি কোন ছবি না ফোটে না আসে কোন ভাবের প্রকাশ তবে সে কবিতা সার্থক নয়; ব্যর্থ প্রয়াস ৷

নিখিল বিশ্বাস ।-এর কবিতা

নিখিল বিশ্বাস ।-এর কবিতা কে দেবে উত্তর Friday, May 18, 2018, 11:17 AM কে দেবে উত্তর আশারাম ঘর ছেড়ে চলে যায় যখন নিতান্ত বালক তারপর টাংঙ্গাওলা হয়ে সুরু জীবন সংগ্রাম । চাতুর্য্য, মেধা আর ভাগ্যের জোরে ভগবান । লক্ষ লক্ষ শিষ্য তাদের জীবন যন্ত্রনায় ফুল পাতা পাদোদক ,রুমাল থেকে বেড়াল, আস্হা অর্জণ ; আশ্রমের ডালপালা একর একর জুড়ে শহরের বুকে স্কুল ,কলেজ, হাসপাতাল ,মন্দির টিভি চ্যানেল গুরুর প্রাত্যহিক বানী ভক্তদের জীবনে দেয় প্রশান্তির আলো, সংকট মোচনে দেয় আশা ,বাচাঁর প্রেরণা । ক্ষমতা ও ঐশ্বর্য লাগাম ছাড়া হলে মানুষ একদিন পাগল হয়ে যায় তারপর শয়তান । সংসার সমুদ্রে অশান্তির ঢেউ তুলে বিদ্ধস্ত রমনীরা সুখ,সম্পদ ও মান নির্ভয়ে তুলে দেয় দেবতার পায়ে । কাম মোহ নিত্য নতুন নারীর পেলব পরাগ নষ্ট ফুলের মধু শেষ হলে কুড়িঁতে সোহাগ । হাজার রমনীর অতৃপ্ত সমুদ্রে করেছেন স্নান মন্হন শেষে অমৃত বারী করেছেন পান পৃথিবী হাতের মুঠোয় ;মন্ত্রী নেতা শান্ত্রীরা করজোরে অপেক্ষায় ভিতরের ঘরে ,আশীর্বাদ চাই । বাচ্চা ফুলের পরাগ কেশর নিয়ে পরীক্ষায় ভগবান ভক্তের জীবন ধন্য হয়েছে, সেরে গেছে রোগশোক । পচা শামুকেই কাট...

সৈয়দ শামসুল হক-এর কবিতা

সৈয়দ শামসুল হক-এর কবিতা পরানের গহীন ভিতর-৫ Thursday, May 17, 2018, 8:04 PM তোমার দ্যাশের দিকে ইস্টিশানে গেলেই তো গাড়ি সকাল বিকাল আসে, এক দন্ড খাড়ায়া চম্পট, কত লোক কত কামে দূরে যায়, ফিরা আসে বাড়ি- আমার আসন নাই, যাওনেরও দারুন সংকট। আসুম? আসার মতো আমি কোনো ঘর দেখি নাই। যামু যে? কোথায় যামু, বদলায়া গ্যাছে যে বেবাক। কেমন তাজ্জব সব পাল্টায়া যায় আমি তাই দেইখাছি চিরকাল। পরানের ভিতরে সুরাখ- সেখানে কেবল এক ফরফর শব্দ শোনা যায়, পাখিরা উড়াল দিয়া গ্যাছে গিয়া, এখন বিরান, এখন যতই আমি ছড়া দেই কালিজিরা ধান, সে কি আর আঙিনায় ফিরা আসে? আর কি সে খায়? সকাল বিকাল গাড়ি, চক্ষু আছে তাই চক্ষে পড়ে; পলকে পলকে গাড়ি সারাদিন মনের ভিতরে।। পরানের গহীন ভিতর-৬ Friday, May 18, 2018, 9:59 AM তোমার খামাচির দাগ এখনো কি টকটাকা লাল, এখনো জ্বলন তার চোৎরার পাতার লাহান। শয়তান, দ্যাখো না করছ কি তুমি কি সোন্দর গাল, না হয় দুপুর বেলা একবার দিছিলাম টান? না হয় উঠানে ছিল লোকজন কামের মানুষ, চুলায় আছিল ভাত, পোলাপান পিছের বাগানে, তোমারে পরান দিছি, তাই বইলা দেই নাই হুঁশ, আমি তো তোমারে নিতে চাই নাই ঘরের বিছানে। হ, জানি ...

সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর কবিতা

সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর কবিতা হে পৃথিবী Thursday, May 17, 2018, 10:52 PM হে পৃথিবী, আজিকে বিদায় এ দুর্ভাগা চায়, যদি কভু শুধু ভুল ক’রে মনে রাখো মোরে, বিলুপ্ত সার্থক মনে হবে দুর্ভাগার!             বিস্মৃত শৈশবে যে আঁদার ছিল চারিভিতে তারে কি নিভৃতে আবার আপন ক’রে পাব, ব্যর্থতার চিহ্ন এঁকে যাব, স্মৃতির মর্মরে? প্রভাতপাখির কলস্বরে যে লগ্নে করেছি অভিযান, আজ তার তিক্ত অবসান। তবু তো পথের পাশে পাশে প্রতি ঘাসে ঘাসে। লেগেছে বিস্ময়! সেই মোর জয়।।    (পূর্বাভাস কাব্যগ্রন্থ) হদিশ Thursday, May 17, 2018, 8:48 PM আমি সৈনিক, হাঁটি যুগ থেকে যুগান্তরে প্রভাতী আলোয়, অনেক ক্লান্ত দিনের পরে,           অজ্ঞাত এক প্রাণের ঝড়ে। বহু শতাব্দী দরে লাঞ্ছিত, পাই নি ছাড়া বহু বিদ্রোহ দিয়েছে মনের প্রান্ত নাড়া           তবু হতবাক দিই নি সাড়া। আমি সৈনিক, দাসত্ব কাঁদে যুদ্ধে যেতে দেখেছি প্রাণের উচ্ছ্বাস দূরে ধানের ক্ষেতে          ...

আবিদ আনোয়ার-এর কবিতা

আবিদ আনোয়ার-এর কবিতা জনৈক মাকড়ের কাছে প্রার্থনা Friday, May 18, 2018, 4:22 AM বোনো তুমি, যত পারো বুনে চলো কৌটিল্যের জাল ক্রমশ সারল্য থেকে ছুটি নিয়ে আমিও আজকাল তোমার নিপুণ শিল্পে আত্মাহুতি দেয়ার আহ্লাদে আবিষ্ট মাছির মতো পড়তে চাই নানারূপ ফাঁদে-- কেননা চুড়ান্তে যাবো; নিরিবিলি জীবনের স্বাদ চেখেও দেখেছি--এর অন্তর্গত কী এক বিষাদ অদৃশ্য নরকে টানে। না এমন খণ্ডমৃত্যু নয়, আমূল নিশ্চিহ্ন করো কিংবা দাও চুড়ান্ত বিজয়। যে-রমণী নগ্ন শুয়ে সিসিলি’র সমুদ্রের পারে রোদের আমেজ মাখে, রাতে থাকে ওজার্ক পাহাড়ে; বগলে পুরুষবন্ধু, লোশনাদি এবং ক্যামেরা হয়তো উদ্দাম কোনো নৈশক্লাবে নর্তকীর সেরা তাকেও দেখেছি একা ভেসে যেতে যন্ত্রণার জলে; ভাঙাচোরা বর্তমান কিংবা কোনো স্মৃতির কবলে ভেতরে-ভেতরে ভাঙে ব্যক্তিগত তারও রাজ্যপাট অথচ লিঙ্কন থেকে ব্রুনাইয়ের সামন্ত সম্রাট একেই ফলাও করে নির্দ্বিধায় স্বাধীনতা বলে জীবনের বিষবৃক্ষ ঢেকে রেখে মোহন বল্কলে। এরচে’ অনেক ভালো মোহাবিষ্ট পতঙ্গের মতো তোমার কুটিল জালে টেনে নাও, আমিও সম্মত। দারুণ অসহ্য এই টুকরো-টুকরো অলিখিত ফাঁদ: কয়েদী ও দর্শনার্থী মাঝখানে লোহার গরাদ, ...