নিখিল বিশ্বাস ।-এর কবিতা
নিখিল বিশ্বাস ।-এর কবিতা
কে দেবে উত্তর
Friday, May 18, 2018, 11:17 AM
কে দেবে উত্তর
আশারাম ঘর ছেড়ে চলে যায় যখন নিতান্ত বালক
তারপর টাংঙ্গাওলা হয়ে সুরু জীবন সংগ্রাম ।
চাতুর্য্য, মেধা আর ভাগ্যের জোরে ভগবান ।
লক্ষ লক্ষ শিষ্য তাদের জীবন যন্ত্রনায়
ফুল পাতা পাদোদক ,রুমাল থেকে বেড়াল, আস্হা অর্জণ ;
আশ্রমের ডালপালা একর একর জুড়ে শহরের বুকে
স্কুল ,কলেজ, হাসপাতাল ,মন্দির টিভি চ্যানেল
গুরুর প্রাত্যহিক বানী ভক্তদের জীবনে দেয় প্রশান্তির আলো,
সংকট মোচনে দেয় আশা ,বাচাঁর প্রেরণা ।
ক্ষমতা ও ঐশ্বর্য লাগাম ছাড়া হলে
মানুষ একদিন পাগল হয়ে যায় তারপর শয়তান ।
সংসার সমুদ্রে অশান্তির ঢেউ তুলে বিদ্ধস্ত রমনীরা
সুখ,সম্পদ ও মান নির্ভয়ে তুলে দেয় দেবতার পায়ে ।
কাম মোহ নিত্য নতুন নারীর পেলব পরাগ
নষ্ট ফুলের মধু শেষ হলে কুড়িঁতে সোহাগ ।
হাজার রমনীর অতৃপ্ত সমুদ্রে করেছেন স্নান
মন্হন শেষে অমৃত বারী করেছেন পান
পৃথিবী হাতের মুঠোয় ;মন্ত্রী নেতা শান্ত্রীরা
করজোরে অপেক্ষায় ভিতরের ঘরে ,আশীর্বাদ চাই ।
বাচ্চা ফুলের পরাগ কেশর নিয়ে পরীক্ষায় ভগবান
ভক্তের জীবন ধন্য হয়েছে, সেরে গেছে রোগশোক ।
পচা শামুকেই কাটলো পা গ্যাংরীণে ধরলো পচন ।
আশারাম ভগবান তাকেই শাস্তি দেবে সামান্য মানুষ ?
পরশুরামের সঙ্গে টক্কর, নিচ্ছে ন্যায়ালয় ।
বৈদিক যুগ হলে ভস্মই করে দিতেন সমস্ত সংসার ।
ক্যানসার বেধেঁছে বাসা সমস্ত রক্ত গেছে পচে
একজন অশীতিপর বৃদ্ধকে ধরে তাকে শাস্তি দিলে
গ্যাংরীণ ভালো হবে?কাটবে বিপদ ?
প্রশ্ন করতে হবে আজ সমস্ত মানুষকে ৷
ভক্তদের জ্ঞান চক্ষু কবে খুলবে ?কে দেবে উত্তর ?
-----------------------------
চতুর্দিকে অগ্নুৎপাত
Friday, May 18, 2018, 8:30 AM
চতুর্দিকে অগ্নুৎপাত
চতুর্দিকে অগ্নুৎপাত লাভা গালা গলিত তরল
রাত্রির অন্ধকারে নক্ষত্র সাক্ষী রেখে যুবকের লাশ ৷
কর্কট বেধেছে বাসা সমস্ত রক্তকে আজ পাল্টে দিতে হবে
নকশাল বাড়ী থেকে আদর্শের হাতছানি তোমার সম্মুখে ৷
তোমার যুবক মন ধনুকের মতো বেকে ভ্রু কুঞ্চিত করে ৷
দারিদ্রের মধ্যে বাড়া অসমাপ্ত শিক্ষা নিয়ে তুমি বিপ্লবী ,
আজন্ম অবহেলা উন্নাসিক অপমানে ক্লিন্ন হয়ে আছো ৷
সম্রাট সমাজ তোমায় কী দিয়েছে ?
কী কর্ত্তব্য ভেবেছো কখনও ?
চতুর্দশ নীতি নিয়ে সাহিত্যের আন্দোলন রাজনীতি থাক
তোমার বাচাঁর জন্য আলোর ঝর্ণাধারায় একটা আকাশ ৷
এভাবে কী বাঁচা যায় ?হাড়পেশী বারবার বিদ্রোহ জানায়
তুমিত অভাবে ক্লিষ্ট ,কল্পনাবিলাস তোমার মুহূর্ত্তের নয় ৷
পুলিশের বেয়নেট রাজপুত্র রাজপথে গড়াগড় যাক
রক্তের হিসাব তারা বুঝে নিক
আদিবাসী যুবকেরা হয়েছে উন্মাদ ।
নিজেকে সাজিয়ে তোল পরিপূর্ণ রূপে রসে সুস্হ জীবন
তখন বিপ্লবী তুমি আদর্শের ঘেরা টোপে হবে না বিলীন ।
সংস্কৃতি বয়ে যাক শিক্ষার রাজপথে আলো জ্বেলে দিক
মহান আদর্শ নিয়ে অলীক চেতনা তোমায় দেখাবে সঠিিক ।
----------------------
রচনকাল 14/9/1971 , সম্পাদনা 15/4/2018
------------------------
রঙীন ছবির বই
Friday, May 18, 2018, 8:28 AM
রঙীন ছবির বই
কোট,প্যান্ট টাই পরা কুমীর আর শেয়ালের গল্পের বই
আমাদের ছেলেবেলা কেটেছে অনেক দিন রমলার সাথে
রঙীন ছবির সাথে গল্প আর খেলা করে কেটেছে দুপুর
কাঁচা আম নুন সহ রমলার হাত ধরে ঘুরেছি অনেক ৷
নাচের স্কুলে আমিই পৌছে দেই প্রতি রবিবার ;
হাত ধরে নিয়ে যাই রাস্তা পার করি অতি সাবধানে ।
ওর মায়ের অনেক ভরসা ছিল আমার উপর ।
দেখতে দেখতে আমরা বড় হয়ে যাই ;
রমলার শরীরটা অদ্ভূত ম্যাজিকে এক রাজকন্যা হয় ৷
আমি নিতান্ত এক সরল বালক মাত্র
ওর চোখের কোনায় দেখি বিদ্যুতের হাসি ৷
রাস্তার রুস্তম যুবকরা ওর বন্ধু হয়ে যায়
আমাকে দেখলে এখন আর না চেনার ভান
সর্বদাই ব্যাস্ত দেখি কি ভীষণ কাজ
সময় পাল্টে গেছে ,পাল্টেছে সমাজ ৷
কোট,প্যান্ট টাই পরা ভালুক আর শেয়ালের গল্পের বই
এখন পড়ছি না আর ,রমলার বন্ধুদের সঙ্গে করছি হইচই ৷
-----------------------
রচনাকাল 1971 , পরিমার্জণা 11/5/2018
স্বার্থপর দৈত্য
Friday, May 18, 2018, 5:00 AM
স্বার্থপর দৈত্য
শেয়ার বাজারে পেন্ডুলাম ছুয়ে হেঁঠেছি অনেক ৷
উপর নীচ করে করে নাগরদোলায় কেটেছে জীবন
কেনাবেচা অংক কষা শুধু লাভ লোকসান ৷
তাকানো হয়নি চারপাশে ,প্রজাপতির রঙীন পাখায়
নীল আকাশ ঝুলে থাকে শঙ্খচিল পাখীর চীৎকার ৷
টুনটনি নেচে চলে পেয়ারার ডালে ডালে নতুন পাতায় ৷
চার দেয়ালের মধ্যে থাকা ভাঙা গড়ার খেলা
দুঃখ কষ্ট সুখ ও অসুখ প্রতিদিনের মেলা
প্রিয় সম্পর্ক নষ্ট হয় ধূলো মাটি পলেস্তরায় ৷
সুযোগ হারাই হীরে চুনী পান্না নষ্ট হয়ে যায় ৷
একদিন সবাই চলে যায় সময়ের অলীক মায়ায়
শেয়ারের পেন্ডুলাম এখনও দুলছে দেখি অবিরাম
হাতছানী দিয়ে বলে
কুবেরের ধন আছে ,নিও না বিশ্রাম ৷
মাতাপিতা পুত্র কন্যা পরিজন সকলেই সরে যায়
দূর থেকে দূরে ৷
আমি থাকি স্বার্থপর দৈত্যের মতো নিজের বাগানে
হৃদয়ে রক্ত খুড়ে খুড়ে ৷
-------------------------
দেশের কাজ
Friday, May 18, 2018, 4:13 AM
দেশের কাজ
পথ চলতে হবে যখন হেলাফেলা কেন
জমিতে চাষ করবে যদি ফেলতে হবে খাদ ৷
স্রোতের টানে যদি এগোও সামনে দেখে নাও
বসে থাকার সময় এ নয় মাটিটা কোপাও ৷
এক মিনিট ও নষ্ট না হয় প্রস্তুতির এই ধাপে
প্রত্যেক দিন প্রশ্ন কর নিজের এই সত্ত্বাকে
কতটুকুন এগিয়ে গেছি সুদীর্ঘ এই চলায়
উঠতে গিয়ে পা পিছলে না পড়ে যাই তলায় ৷
লক্ষ্য হবে এগিয়ে চলার ,উন্নতি সার্বিক
পরিবারের সঙ্গে বাড়ুক দেশ ও দশের সুখ ।
বড় হওয়ার মূল মন্ত্র দেশের সেবা করা
গন্ডী কেটে বদ্ধ হলে সার্থক নয় চলা ৷
কিশোর তুমি সাধনা আর প্রতিশ্রুতি নিয়ে
এগিয়ে চলো দাড়াঁও নিজে মহীরূহের মতো
কিন্তু তোমার চিন্তা হবে নশ্বর এই প্রাণ
দেশের কাজে বিলিয়ে হবে অমৃত সন্তান ৷
তোমার সাথে দেখা হ'লে
Friday, May 18, 2018, 9:46 AM
তোমার সাথে দেখা হ'লে
সবচেয়ে গমগম রাস্তাটার মোড়ে
সবচেয়ে জমকালো দোকানের ভীড়ে
ঘন্টার সঙ্গে আমি পাল্লা দিতে পারি
সিগারেট মুখে দিয়ে করে পায়চারী ৷
জীবনটা এইভাবে সুদৃশ্য মোড়কে
সাজানোর ইচ্ছে ছিল লোক কোলাহলে ৷
উটের গ্রীবার মতো চোখ নিয়ে
মানুষকে দেখে যাবো কৌতুহলভরে ৷
ঘন্টার পর ঘন্টা কাটে
তোমার দেখা নাই ,
ধোঁয়া ওড়াই গল্প করি আর আশ্বিনের গান
রাতের কড়া নিয়ন আলো
বিসমিল্লা সানাই
তোমার সাথে দেখা হলে তবেই পাবে প্রাণ ৷
বিদ্র: ১৯৭১ সালে লেখা , পরিমার্জনা ১৫/৪/২০১৮
স্বর্গ কোথায় আছে
Thursday, May 17, 2018, 10:28 PM
স্বর্গ কোথায় আছে
স্বর্গ কোথায় আছে ,কাশ্মীরে ঝীলমের পাড়ে ?
ডাল লেক ,দারুচিনী বনে কিংবা মোগল গার্ডেনে ?
ডালহৌসী পাহাড়ের স্বপ্ন মাখা গ্রাম ,নৈনিতাল
রাণীক্ষেত ,মানালীর রোটাং পাসে স্বর্গ কানন ?
স্বর্গ কোথায় আছে? পাঁচতারা হোটেলের নাইট ক্লাবে ?
ছত্রিশ হাজার ফুট বোয়িংএর পেটে সঙ্গে বিমান সুন্দরী
তার হাতে সুরা পান ,হাতে হাতে আইসক্রীম কিংবা বিরিয়ানী
অথবা রেসের মাঠে ,শেয়ারের কারবারে মুনাফা অঢেল
কোথায় শান্তি আছে সুখের অলকানন্দা ,স্বর্গ মন্দাকিনী ?
কেউ তাস খেলে শান্তি পায় ব্রীজ,ফিস কিংবা রামী
কেউ মদ খেয়ে বেসামাল ,কালীঘাট ,খেলে কানামাছি ।
স্বর্গ কোথায় আছে ?সন্ধ্যার হাতীবাগান কিংবা গড়িয়াহাট ?
ডানাকাটা সুন্দরীরা কাজুবাদামের মতো মসৃন পেলব ।
চরাচর ভুলে তুমি সমুদ্রে দিয়েছো ডুব যদি পাওয়া যায় ,
কোথায়ও পাওনি খুজেঁ স্বর্গারোহনের সিড়ি ,স্বর্গ মঞ্জীল ;
চলে গেছ বেনারস ,বৃন্দাবন, হরিদ্বার, পুরী
কোথায়ও স্বর্গ নেই,তৈরী করতে হবে তাকে নিজের চেষ্টায় ।
রমনীর ওষ্ঠাধরে নাভীমূলে কিংবা জংঘা যোনীদেশে
কোথায় কামরূপ কামাখ্যা, স্বর্ণ গুহা ,স্বর্ণ মন্দির ;
সেতারের রাগিনীতে ,রবীন্দ্র সংগীতের ঝর্ণা ধারায়
কোনখানে স্বর্গ আছে তৈরী করো ,খুঁজে নাও সুখের মঞ্জীল ।
বিদ্র : রচনাকাল 14/12/2001 সম্পাদনা 10/5/2018
https://www.facebook.com/panihaty
----------------------------
রোজ যু্দ্ধ নয়
Friday, May 18, 2018, 4:53 AM
রোজ যু্দ্ধ নয়
সূর্য্যের নরম আলো চিনারের পাতা ছুঁয়ে শহর রাস্তায়
জাহাঙ্গীর,নূরজাহান এখন ও জীবন্ত আছে শালীমার বাগে ।
জঙ্গী রক্তবীজ পাহারায় বসে আছে গোলাপের নীচে ।
কাশ্মীর তোমার নয় কাশ্মীর আমার নয়
উৎসর্গে দেওয়া আছে দেবতার কাছে ।
বিশেষ আইন দিয়ে বাধাঁ আছে ঝীলমের তীর
ভারতে থেকেও এরা পরদেশী ,ভারতীয় নয় কোনভাবে ।
এদের স্বপ্ন আশা দূরাশার ঘনঘোরে বস্তাবন্দী আছে ।
আমাদের বন্ধু হাত এদের দূরাশাকে করেছে অস্হির ।
ছাত্র ,যুবা,গৃহবধূ সবাই রাস্তায় ,প্রতিরোধে
ঘৃণা হিংসায় উন্মত্ত জনতা আজ পাথর খন্ডকে
করেছে কামানের গোলা ,
জঙ্গীর রক্তবীজ প্রত্যেক ঘরে ঘরে বাড়ছে দাপিয়ে ।
ঝীলমের স্বপ্ন, গঙ্গা কাবেরীর স্বপ্ন কখনও এক নয় ।
দেবরাজ ইন্দ্রকে হতে হবে কঠিন কঠোর ,
উৎসর্গে দিয়ে রেখে রাজনীতি চালাকী আর কত দিন ?
ভেঙ্গে দাও মেরুদন্ড ভেঙ্গে দাও স্বপ্ন গভীরে ।
আমরা সবাই সমান এই রাজার রাজত্বে ।
বিহার ,বঙ্গ ,উড়িষ্যা সবাই আসুক ,বসাক ঘর এখানে
তামিল ,তেলেগু, পাঞ্জাবী, ঝীলম গঙ্গায় যাক মিশে ।
বিশেষ আইন আগুনে পোড়াও দিল্লীর রাজপথে ।
গৃহ যুদ্ধ হয় হোক ক্লীবত্ব যাক ঘুচে
রোজ যুদ্ধ নয় ,একদিন হয় হোক ।
সিদ্ধান্ত নিতে হবে ;
শিখন্ডী রাজার যুগ আর নয়
নতূন সূর্য্য আজ দিগচক্রবালে ।
---------------------------
https://www.facebook.com/panihaty
অবতার ভগবান
Thursday, May 17, 2018, 5:30 PM
অবতার ভগবান
কামিনী কাঞ্চণ পরিত্যাগ করো যদি চাও মোক্ষলাভ
টাকা পয়সা বিষয় আশয় ছেড়ে দিয়ে জপো কালীনাম ;
যদি তোমার বিত্ত হয় উদ্বৃত্ত দান ধ্যান কর সাধু সজ্জনে
বিজ্ঞানে বিশ্বাস অভক্তির লক্ষ্মন বিধাতার অসন্মান ।
কর্তব্য রত ডাক্তারকেও করেছেন অপদস্হ
বাড়ীতে তবুও আসতেন রোজ রোগীকে দেখতে ,
করতেন না অবহেলা ।
বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কুযুক্তি দিয়ে করেছেন বাজীমাত ;
ভক্তরা সংখায় বেশী গুরুদেবকে সমর্থন করা চাই
যে কোন বিষয় হোক ।
ভক্তরা জানে রোগকষ্ট মিছেই ,গুরু নিয়েছেন নিজে ।
এক লহমায় সাড়াতে পারেণ মৃত্যু কঠিন ব্যামো
ভগবান তিনি অবতার হয়ে মানব জীবনে ব্যাপ্ত ।
শিষ্য আর ভক্তদের রোগমুক্ত করতে
হয়েছেন নীলকন্ঠ, করেছেন বিষপান ।
পুরুষকে বলেছেন নারী মোহ ,সংসার বন্ধন ।
উদবুদ্ধ হয়েছেন হাজার তরুণ ঘর সংসার ছেড়ে
মায়ার বন্ধন কেটে হয়েছে সন্ন্যাসী কিসের আশায় ?
গৃহী ,সংসারী ,নারী ,পুরূষ সবাই সমান
তাকেই মেনেছে অবতার ,ঈশ্বরের বরপুত্র ।
পৃথিবী অদ্ভূত সব গোজাঁমিলে ভরা বিচিত্র মানুষ
এদের মনের ঠিকানায় তুমি পেয়ে যাবে ভগবান
বিচার বুদ্ধি বিজ্ঞান নিয়ে কাজ নেই আর বৃথা
অবতার তিনি ঈশ্বর নিজেই বলেছেন সেই কথা ।
------------------------
কবিতার জন্য
Thursday, May 17, 2018, 3:02 PM
কবিতার জন্য
মাঝে মাঝে মনে হয়
হয়তো আর ইচ্ছে মতো
কবিতার শরীরটাকে ঠিক মতো গড়া যাবে না ৷
এলোমেলো চিন্তার বাসী পচা জলে
শব্দের মনি মুক্তো অতলে হারায় ৷
সারাদিন সারা রাত খুজঁতে খুজঁতে
রাজপথ উটকো গলি অন্ধকার ;
কখনও বেপরোয়া রাস্তায় রকবাজ
অশালীন প্রজাপতী মন্তব্য ছুড়ে ছুড়ে
রাস্তার ডানাওলা মেয়েদের পিছু পিছু
কবিতার শরীরের মেদ মাংস রক্ত প্রাণ
গড়ে নিতে ছুটে যাই ৷
কবিতাকে খুজে পেতে
এটম বোমার শব্দ
নদীর মতন বহতা এক বিগলিত নারী
দপদপে বেয়াড়া এক সূর্য্যের সন্ধানে
চব্বিশটা ঘন্টা আমি রাস্তায় কাটাই ৷
-----------------------------
রচনাকাল 9/9/1971 পরিমার্জনা 15/4/2018
-----------------------------
যুদ্ধ আর নয়
Thursday, May 17, 2018, 3:02 PM
যুদ্ধ আর নয়
কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ কিছুতেই বন্ধ হয়নি
কৃষ্ণের সব দ্যূত কর্ম বৃথাই গেছে জলে ।
কুরুবংশ ধ্বংস হয়ে গেছে সঙ্গে আরো কত রথী মহারথী ,
পান্ডব পায়নি শান্তি যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ও।
ভারত পাকিস্হানের যুদ্ধ অহরহ
কখনও মুখোমুখি
কখনও মেঘের আড়াল থেকে ইঙ্গিতে ইশারায় ।
দূর্জোধন নেই দুঃশাসণ নেই
নেই শকুনীর পাশা
জীবন্ত আগ্নেয়গিরি নিয়ে সত্তর বছর
কাশ্মীর আজও কাঁদে মৃত্যু যন্ত্রনায় ।
শান্তি ই শেষ কথা বলে পৃথিবীতে চিরদিন
অপরিণামদর্শিতা দেখেছে ইতিহাস
শেখা বাকী এখনও অনেক কিছু ।
সহস্র কোটী টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম ;
সৈনিকের মৃত্যু মিছিল নাগরিক যুদ্ধে সামিল
প্রতিদিন ;
এর থেকে মুক্তি পাওয়া এতই শক্ত কিছু ?
মানতে পারি না আমি ।
যুদ্ধবাজ, স্বার্থপর,ক্ষমতালোলুপ নেত্রীবৃন্দ
আপন খেয়ালে ঝামেলা পুষতে চায় ।
মন্দাকিনীতে স্নান করে এসো শুচি হোক মন প্রাণ
নন্দন কানন সুরভিত হোক মানুষের সুখ উল্লাস ।
তিন কাশ্মীর এক আকাশে একটাই রামধনু
শপথ নিয়েছে সবাই এবার হাত ধরে চলবার ।
বন্ধ হোক আগুনের গোলা ,বন্ধ হোক যুদ্ধ বিবাদ
বছর বছর দান খয়রাত ,রক্ত হোলীর খুন সন্ত্রাস ।
হাত ধুয়ে ফেলো সব দায় থেকে
বন্ধু রাষ্ট্র হোক পাকিস্হান সঙ্গে থাকুক চীন ;
সীমান্তে ফুটুক গোলাপ বাগান ,কোকিলের কলতান ,
সন্ত্রাস যাক মুছে ।
সার্বভৌম অধিকার নিয়ে থাকুক সবাই সুখে ;
আমরা নেতা সবাই সমান শান্তির সাথে সাথে ।
দূর্জোধন থাক দুঃশাসণ থাক
থাক শকুনীর পাশা
যুদ্ধ আর নয় বন্ধুত্বই হোক
নতুন যুগের ভাষা ।
মন্ত্রপাঠ
Thursday, May 17, 2018, 3:02 PM
মন্ত্রপাঠ
যাজ্ঞবল্ক্যের মন্ত্র পড়া জল ছিটালেই
বিড়াল হবে কুকুর কিংবা ব্যাঘ্র থেকে ইদুঁর ;
সেই বিশ্বাস নিয়ে বৈদিক মন্ত্রের জয়গান
পূজা পাঠ যজ্ঞ সমস্ত শুভকাজ
সংহিতার চৌকিদার দিব্যি করে যান ৷
মানুষ চাঁদে যায় বুধে যায় রোবট বানায়
নিজেকে ধ্বংস করে নিজেকে সৃষ্টি করে
আপন গরিমায় ৷
মন্ত্রপাঠ পূজা আদি হরপ্পার সভ্যতা
এখন যুগের কাছে হাস্যকর প্রথা ৷
মন্ত্রপাঠ ধর্ম নয়,ধর্ম আছে প্রাণের গভীরে ৷
সংহিতার বিধিনীতি, মনগড়া দেবদেবী, নিত্য আরাধনা
সভ্যতার অপমান বিদ্যা ও বিজ্ঞানের শুধু বিড়ম্বনা ৷
মানুষ যখন শহর গড়ে, চাঁদের বুকে পাহাড় কাটে
যাজ্ঞবল্ক্য ব্যস্ত থাকে মন্ত্র নিয়ে পূজাপাঠে ৷
-------------------------
কবিতার ব্যর্থতা
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
কবিতার ব্যর্থতা
কবিতায় বাণী গুমরে কাদঁবে
বলবে না সে কথা
কলা বৌ হয়ে থাকবে আড়ালে
লজ্জায় অবনত ;
বোরখার আড়ালে নিয়ে
কবিতার হিজিবিজী
সযত্নে লুকিয়ে রাখো ।
আড়াল না করলে পরে কেমন করে ঢাকবে
চেহারার দীনতা ,
পৃথিবীতে নারী বা পুরুষ
কজনেই বা সত্যি সুন্দর ?
চেহারা সুন্দর হলে রেশমী কাপড়ে মুড়ে চোখে মুখে রং
বলিষ্ঠ ঘোষণা হলে পেশী বহুল পৌরুষ শব্দের মালা ;
চোখে চোখ রেখে হাতে হাত রেখে করবে আলাপ
কোদালকে কোদাল বলবে চাঁদ কে বলবে চাদঁ ।
প্রেমের কথা ইঙ্গিতে বললেও বুঝবে পোষা পাখী ;
মৈথুনের কথায় লজ্জায় রাঙা হবে শব্দের কালো আখিঁ ।
একান্ত ব্যক্তিগত আলাপন শব্দকে ঘোমটায় টেনে
আকারে ইঙ্গিতে চোখ ও আঙুল দাও কবিতার বুকে ।
কথা বলবে না; বৈদ্যুতিক তরঙ্গ আসবে
শব্দের এন্টেনা থেকে ।
তোমার মাথার রেডিও সেট যদি ধরতে না পারে
সে তোমারই ব্যার্থতা ।
কবি তরঙ্গ পাঠিয়ে খালাস ;এখন তুমিই কষবে অংক ।
কবিতার বোরখার আড়ালে আছে সাদামাটা কঙ্কাল
তাকে আড়ালে রাখতেই চাই কারী কুরী সংকেত ।
আধুনিক কবিতা যদি বুঝতে চাও ,তরঙ্গ দৈর্ঘ মাপো
নিজের এন্টেনা কার্য্যকরী কর, বিশেষ প্রচেষ্টায় ।
তা ও যদি ধরতে না পারো কেন কর হাঙ্গামা ;
প্রশংসা ভরিয়ে দাও ,দুহাত ভরে দাও শুভেচ্ছা ;
বুকে টেনে নাও তোমার ও কবির সমস্ত ব্যর্থতা ।
আজব মন্ত্রপাঠ
Thursday, May 17, 2018, 4:15 PM
আজব মন্ত্রপাঠ
বৈদিক মন্ত্রপাঠে সব শুভ কাজ
আর কেন হবে আজ ?
পূজাপাঠ বিবাহ,শ্রাদ্ধ আদি সমস্ত রীতি
সিদ্ধ হয় সংস্কৃত শ্লোকে
ব্রহ্মা,ইন্দ্র ,বৃহষ্পতির এটাই রাজনীতি ৷
হাজার বছরের পুরানো সংহিতার সেই বানী
প্রস্তর যুগের শ্যাওলা ধরা হরপ্পার ভাষা
অন্ধের মতো আওড়ে যাই এ আমাদের গ্লানি ।
মৃত ভাষা নিয়ে কেউ চায়না ব্যখ্যা, মানে ৷
ঠিকাদারেরা ধর্ম বেঁচে জ্ঞানে ও অজ্ঞানে ৷
ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার কিংবা উকিল
তারাও মন্ত্র পাঠে পার হয় ধর্মের গোঁজ ৷
বিদ্রোহ করেনা কেউ; সত্যের করে না কেউ খোজঁ ৷
সংস্কারের টীকি বাধাঁ এখনো জরথ্রুষ্টে ৷
আজগুবী রীতি আর দুর্বোধ্য মন্ত্রপাঠে
আচারের নামে অনাচার মিথ্যে আশায়
আর নয়
সভ্যতাকে দাড়াঁতে হবে তার নিজের ভাষায় ৷
ত্যাগ কর হরপ্পার শিলিলিপি
সমাজকে দাও এক ধারালো কুঠার
চেতনার ব্রহ্মমূলে মারো ঘা
জাগ্রত হোক এক নতুন প্রভাত ৷
------------------------
ধর্মের নামে
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
ধর্মের নামে
রবিবার প্রার্থনার ঘন্টা বাজে সমস্ত গীর্জায়
যীশুর বানীতে শুদ্ধ হয়ে যায় গোটা পৃথিবীটা ৷
শুক্রবার নামাজ হয় পৃথিবীর সমস্ত কোনায়
চেতনা জাগ্রত হয় সমাজবদ্ধ হয় হাজার মানুষ
বাচাঁর প্রেরণা পায়,সমবেত প্রার্থনায় নূতন জীবন ৷
পুরাতত্ত্বের যাদুঘরে পুত্তলিকা খড়ে ও কাদায়
বাৎসরীক সামিয়ানা মস্ত আয়োজন
সৃষ্টি কৃষ্টি বিনষ্ঠ হয় মন্ত্র পাঠ গঙ্গা বিসর্জণে ।
ধর্মগুরু বাবারাই সেজেছেন ঈশ্বর ।
তীর্থে ভীড় কুষ্ঠ রোগী ভিখারী পঙ্গুদের সঙ্গে ডুমো মাছি
সেখানে পর্যটনে আয়েশ করে হাজার মানুষ
কোন মন্ত্র বল কোন যাদুকাঠি নড়ে রাতের আধাঁরে ?
চাওয়া পাওয়া আত্মার মুক্তির জন্য যুগ যুগ ধরে ৷
সংসার সমুদ্রে পরিত্রাণ চাই তীর্থে ঘুরে ঘুরে ।
সংস্কৃত মমী নিয়ে ঠিকাদার জ্বেলে রাখে ধর্মের আলো৷
দান পাত্র,পূজা ,আরতী , বিগ্রহে জীবন দান ৷
খন্ডিত দেহ ঘিরে পর্যটন তীর্থক্ষেত্র অতি জাগ্রত ৷
শিকারীর অমেয় ফাঁদে মানুষ পড়বে ধরা তা ও সম্মত ।
কোন শিক্ষা নেই কোন বার্তা নেই, শুধু প্রহসণ
ধর্মের নামে ব্যাবসাই চলে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ ৷
--------------------
আমাদের শিক্ষক
Friday, May 18, 2018, 4:14 AM
আমাদের শিক্ষক
আমাদের মাষ্টারমশাই সংস্কৃত পড়াতেন
মাথায় টিকী মুখে হরিতকী ক্লাশে দিব্যি ঘুমোতেন ৷
এক শিক্ষক ক্লাশে ইংরাজী পড়াতেন শুদ্ধ উচ্চারণ
নীল ডুমো মাছিরা তার মুখে
মদের গন্ধে নাচত সারাক্ষণ ৷
বাংলার শিক্ষক অনুচ্চ স্বরে কিছু কবিতা শোনাতেন
অংকের স্যার প্রেশারের রোগী
ছিলেন ভীষণ রাগী
হেড স্যার পড়াতেন কম
অন্য ব্যপারে মনোযোগী ৷
কৈফিয়ত নেবার ছিল না কারো আগ্রহ
দায়বদ্ধতা মাসিক বেতন নিয়ে
ছিল জড়সড় ।
আমরা শিখিনি কোন নীতি জ্ঞান, কোন ধর্ম, কোন মন্ত্র
শিখেছি শুধু প্রতিবাদ ,বন্ধ-হরতাল, রাজনীতি ৷
আমাদের জীবন এমনি ভাবেই গড়ে ওঠে একদিন ৷
তাস ,আড্ডা,তেলেভাজা নিয়ে ছোট খাটো ব্যাবসাতে
তোলাবাজী রঙবাজী মানুষ চমকাতে ;
ফুটবল,কেকেআর ,মেলা আর মানুষের উচ্ছাসে
ভোট,হিংসা,আগুন,নিয়ে দিন কাটে অনায়াসে ,
মা-মাটি মানুষ আমাদেরই আছে পাশে ।
--------------------------------
চাবুকের জন্য
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
চাবুকের জন্য
চাবুকের শব্দে কাঁদি আমি সেই প্রিয়া
শরীরের ক্ষত নিয়ে যেতাম তিস্তায়
চাঁদনী রাত কাটে আয়েশে রঙীন
খুশীর তুফান ওঠে ভেসে যায় দিন ৷
তারপরে একদিন বারান্দায় ফেলে
সোহাগী রাতের চাঁদ সেও চলে যায় ৷
অতঃপর ফিরে আসি চাবুকের কাছে
সে এখন সন্ন্যাস নিয়ে পূজা পাঠে আছে ৷
আমাকে দেখেও যেন না চেনার ভান
দেবীর আসনে আমায় বসাতেই চান ৷
আমার শরীর ঘিরে বিদ্যুতের ঢেউ
রাতে আসে না ঘুম সঙ্গে নেই কেউ ৷
কুয়ো পাড়ে ঠান্ডা জলে স্নান করি রাতে
সারারাত জেগে থাকি ঘুমাই প্রভাতে ৷
ঘরের মন্দিরে আমার হয়েছে বিসর্জণ
চাবুকের জন্য কাদেঁ প্রাণ সারাক্ষন ৷
বিদ্র: "তবু দীপ জ্বলে না " (কবি সুমিত্র দত্ত রায়) বিতর্ক উপলক্ষে রচিত ৷
----------------------------
বঙ্গদেশের রঙ্গ ৷
Thursday, May 17, 2018, 4:06 PM
বঙ্গদেশের রঙ্গ ৷
মুহূ্রতে্ ধূলিস্যাৎ গগনচুম্বি মা্রকি্ন দুই বহুতল
আমেরিকা হতভম্ব পৃথিবীর শতকোটী মানব বিহ্বল ৷
ধূর্তনীতি নিয়ে প্রাগ্যময় বামেরা ভীষণ অস্থীর
কাশ্মীর পাকিস্থান আইসিস হিংসার কদর্য শরীর ৷
নক্ষত্রেরা মরে গেলে অসীম অন্ধকার অতল গহ্বর
ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি নিষে পন্ডিতের বিতর্ক জীবন নশ্বর ।
বুদ্ধ যীশু মহাম্মদ এদের দেখানো পথে এখনো পৃথিবী
কিছু উগ্র বিধর্মির রক্তে বাজে ঘৃণা আর অন্ধ প্রতিশোধ৷
কলকাতা মায়াময় ওসামাকে ভালোবাসে প্রাণের গভীরে
বজ্রমুষ্ঠী শূন্যে তুলে ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল মিটিং এ ।
আমেরিকা নিপাত যাক ,ভীষণ গর্জণ তোলে শূন্যকূম্ভ বাম
ক্ষমতার অলিন্দে কূম্ভীরাশ্রু পাত করে নেতৃ অবিরাম ।
বুদ্ধিজীবি হতবাক কার্য্য কারণ সম্পর্কে থাকে মশগুল
লজ্জা আর নাসরিণ মুখ ঢাকে পৃথিবীর গুপ্ত কোনায় ।
ত্রিশূল নাচিয়ে বঙ্গ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে ক্ষমতার মাপ
রাজনীতি মৌলবাদ ভোটের আসর নিয়ে বকছে প্রলাপ ৷
বিদ্র : ২০০১ সালে লেখা পরিমার্জণ ২৬/৪/২০১৮
মাতৃভাষার টান
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
মাতৃভাষার টান
হায়দ্রাবাদ থেকে দুশো মাইল দূরে
কর্ণাটকের এক পুরণো শহরে তখন প্রথম আস্তানা ৷
একা থাকি বিয়ের মাত্র সাত মাস পরেই ৷
চতুর্দিকে ফনী মনষার মতো দুর্বোধ্য কানাড়ী ভাষা
পরিত্রাণ নেই দিনরাত্রি দমবন্ধ অবস্হা ৷
হোটেলে নিরামিশ প্লেট মীল টকঝাল মন্দ নয়
কখনও বারে গিয়ে বিরিয়ানী বিয়ারের মৌতাত ৷
অচেনা দেশ অচেনা মানুষ ,একটা কাক পক্ষী
কিংবা সারমেয় কারোই গরজ নেই আমাকে চেনার ৷
মালভূমি শহরের প্রান্তে দাড়াঁলে অনেক অনেক নীচে
সবুজ শস্যক্ষেত ,গ্রাম, রাস্তা আঁকা বাকা ঠিক ছবির মতন ৷
বাংলা ভাষায় কথা বলিনি কতদিন ,তখন ছিল না মুঠোফোন
মনে হয় যুগ যুগান্ত ধরে বসে আছি অন্য এক গ্রহে ৷
সন্ধ্যার পর অফিস শেষে ঘুরে বেড়াই দোকান পাট বাজার
যদি দেখা পাই শাখাঁ সিদূর সহ কোন পরিবার
তাহলে বুঝতে পারি অন্য গ্রহ নয়, আছি বাংলারই কাছাকাছি ৷
কিন্তু সংকোচে মরে যাই কি ভাববে ওরা; অজানা এক ভয়
ভাবতে পারে নতুন উৎপাত ,ভদ্রবেশী ভন্ড প্রতারক ৷
দিনের পর দিন যায় ভদ্রতার রেশমী জাল ছিড়ে
আর হয় না বাংলায় ঢোকা ৷অন্য গ্রহেই থেকে যাই ৷
মাতৃভাষার জন্য দেশের লোকের জন্য এই যে হাহাকার
এটাই নাড়ীর টান বুঝতে পারলাম আজ অন্যগ্রহে এসে ৷---
-----------------------------
প্রতারণা
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
প্রতারণা
খবরের কাগজে প্রতিদিন বিজ্ঞপনের বাহার
আপনার ভাগ্যের চাকা ঘোরাবে জ্যোতিষী ও তান্ত্রীক
বিদ্যা ,বিবাহ ,বাস্তু ,ব্যাবসা যে কোন সমস্যায়
পঞ্চমূন্ডী যজ্ঞ তন্ত্র মুক্তি দেবে সব গ্রহ দোষ
সমাধানে সিদ্ধহস্ত ।পাবে ঈশ্বরের সন্তোষ ।
চেম্বার খুলেছে অনেক শহরে রমরমা কারবার
সেরা ডাক্তার ও লজ্জা পাবে অর্থ ও যশ দেখে ৷
মানুষ এত অসহায় অজ্ঞ . ধাপ্পাবাজীতে ভোলে
এদের কথার মারপ্যাচ চোখের ইঙ্গিত সব গোলমেলে ৷
ধর্মের ব্যাবসায়ী এরা সব পাপ করে অনায়াসে
চ্যালেঞ্জ দিয়ে প্রতিকার করে তাবীজ কবচ ও পাথরে ৷
দুহাতে লুটে নেয় সর্বস্ব যেখানে সুযোগ পায়
বাত ,সুগার, ক্যান্সার সব ভালো করে দেয়
মিথ্যে প্রবঞ্চনায় ৷
রাশিফল, ঠিকুজী-কুষ্ঠী ,ভাগ্য গননা সব ছলনা ,
দুর্বল অসহায় মানুষের সঙ্গে এক নিষ্ঠুর প্রতারণা ৷
-------------------
নকশালবাড়ী
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
নকশালবাড়ী
রোজ বিকেলে গান্ধীঘাট বা দক্ষিনেশ্বর
বেকার তরুণ ,যুবক সঙ্গে দূরন্ত কৈশোর;
বাবরি মাথার চুল রুক্ষ কটা ফোলানো
বেল বটম প্যান্ট, জুলফি লম্বা ঝোলানো ৷
মাও সে তুঙ জিন্দাবাদ চীন পথ দেখায়
সমাজকে পাল্টাতে হবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় ৷
গানের জলসা রোজ এখানে ওখানে
বিপ্লবের হাতে খড়ি বোমা আর বারুদের ঘ্রাণে
এ পাড়ার ছেলেরা পেটায় ও পাড়ার ছেলে
বোমা ও পাইপগানে রাস্তা ঘাট ছেয়ে ফেলে ;
রাজনীতির স্বার্থে বাঁধে তুমুল লড়াই
পুলিশভ্যান আসলেই অন্ধকারে অদৃশ্য সবাই ৷
রাত্রী গভীরে ফের বিপ্লবীর দল জড়ো হয়
পরিকল্পনায় পাকা হয় কার মুন্ডু কাটা হবে
কোন শিক্ষককে বাছা হবে কিংবা রেহাই
কোন পুলিশকে দেওয়া হবে উত্তম ধোলাই ৷
প্রশাসন কেঁপে ওঠে রাজ্যবাসী মরে ত্রাসে
সিদ্ধার্থ নিরুপায় কঠিন নির্দেশ আসে ।
বরানগর কাশীপুরে রক্ত গঙ্গা বয়ে যায়
উজ্জল নক্ষত্রেরা ঝরে যায় কলকাতার রাস্তায় ৷
গঙ্গায় ভেসে ভেসে নক্ষত্রের লাশগুলো
বলে যায় মুক্তির পথই একমাত্র স্বপ্ন ছিল ৷
হাতে নীল ধোঁয়া
Friday, May 18, 2018, 9:30 AM
হাতে নীল ধোঁয়া
মিনিবাসের ড্রাইভার পয়ত্রিশের যুবক
বাহাতে স্টিয়ারিংয়ের মস্ত বড় চাকা
অনায়াসে গাড়ী ডানদিক বামদিক করে
কলকাতার কাধঁ নেড়ে কলকাতার বুক চিড়ে
উন্মত্ত ষাঁড়ের মতো চলেছে ধীরে ধীরে ৷
বুকের ছাতি বত্রিশ ইঞ্চি হাতে নীল ধোঁয়া
ফুসফুস ঝাঝঁরা করে হাসছে অহংকার
পখযাত্রী সন্ত্রস্ত ভীত বাস রাস্তার
সার্জেন্টের লাল বাইক নিয়ম রক্ষায়
চালান বানিয়ে ফাইন কখনও বা এসে যায় ৷
ট্রাম লাইনে সূচিবিদ্ধ রাস্তা এফোঁড় ওঁফোড়
মস্ত অজগর ট্রাম দাড়িয়ে ঘন্টার উপর
বাস দাড়িঁয়ে হাঁপায় ছুড়তে থাকে বিষাক্ত ধোঁয়া
যাত্রীরা হাপাঁয় গ্যাস চেম্বারে মৃত্যু প্রতিক্ষায় ৷
ড্রাইভারের হাতে জ্বলছে বাঙ্গালী অহংকার
গলা ,ফুসফুসে, স্তনে ক্যানসারের চীৎকার ;
কারো পরিত্রাণ নেই অবস্হা বড়ই সঙ্গীন
কলকাতা তোমার পরমায়ু আর কত দিন ?
------------------
রচনা ২০০২ সালে ,সম্পাদনা/ পরিমার্জন ১৪৷৪৷২০১৮
বাচঁবার পথ চাই
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
বাচঁবার পথ চাই
এখানে স্বপ্ন অঙ্কুরে আজ মাঠে মাঠে মারা যায়
ললিত কুসুম ফোটে না কোথাও এই বাংলায় আর ৷
এখানে স্বার্থ হানাহানি আর রাজনীতি নিয়ে খেলা
প্রকাশ্য পথে খুন হয়ে যায় প্রত্যহ দুই বেলা ৷
বসন্ত আর রঙীন পাখায় জানায় না আগমন
চুপিচুপি এসে নীরবেই থাকে ভয় তার জনগন ৷
এখানে সত্য বিবেক বুদ্ধি দয়ামায়া কিছু নাই
ধর্মে বিভেদ দুর্নীতি রাজ সব কাজে 'তোলা' চাই ৷
যদি ভেবে থাক আমি বেশ আছি ওসব এড়িয়ে চলি
ঝামেলাতে নেই কাজ নিয়ে থাকি তবে কানে কানে বলি ৷
রেহাই পাবে না ঘরে বসে থেকে ; গুন্ডা পাঠাবে বাড়ী
ধরে নিয়ে শেষে রটাবে , তুমিই দুষ্ট অত্যাচারী ৷
আদালতে গেলে বিচার পাবেনা তোমার জীবন কালে
ন্যায় অন্যায় সব ঠিক হয় টাকার অকল্যানে ৷
আজব দুনিয়া বাংলার মাটি,তবু তার গুন গাই
ধ্বংসের গান আর নয় আজ বাঁচবার পথ চাই ৷
দিল্লী বহুদূর
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
দিল্লী বহুদূর
মূর্খেরা সুখে থাকে তাদের অল্পতেই সুখ
বামন হয়ে চাঁদ ধরার নেই সে অসুখ ৷
ভাগ্য কখনও হয় অপ্রত্যাশিত ভালো
নির্বোধও শাসন কর্তা জগৎ করে আলো ৷
গোখাদ্যে পুষ্টি নিয়ে বিহারে ভরপাই
দিল্লীতে রেল মন্ত্রী বছর দশেক
সম্পত্তির হিসেব নেই এতই কামাই ৷
দিদিমনির বৃহষ্পতি তূঙ্গে যাতেই হাত দেন
শুধুই সোনা ফলে , পান বিশ্ব প্রেম ৷
সাদা শাড়ী গ্যালাক্সী নীল চটী পায়
অতীতের কথা ভুলে কংগ্রেস ঝাঁপায় ৷
বড় বড় ব্যারিষ্টার ,চাণক্য চতুর
দিদিমনি স্বপ্ন দেখে ;
কিন্তু ,দিল্লী বহুদূর ৷
তুমিই স্রষ্টা
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
তুমিই স্রষ্টা
নারী জীবন নিয়েছো যখন
মাতৃত্বের কষ্ট ও সুখ ,
কিছু লজ্জা কিছু গ্লানি
সহ্য করে নাও ৷
ঝিনুকের মধ্যে রাখা মনিমুক্তো
নারীত্বের নির্যাস ;
শরীরের মধ্যে শরীর
বাড়তে থাকে নতুন অতিথি ৷
তোমার সৌন্দর্য আর ও মধুময় হয়ে ওঠে
ফুটে ওঠে ঈশ্বরের দান ৷
চারিদিকে নেকড়ে আর হাঙড়ের কুচক্রী দঙ্গল
ছুরি কাচিঁ অসহ্য যন্ত্রণা আর ডাক্তারের হাত
গোপন আতুর ঘরে সম্পর্কের গভীর মোচড় ৷
ঝিনুকের মধ্যে মুক্তো সে তোমারি সৃষ্টি
তুমিই ঈশ্বর ,তুমিই স্রষ্টা তুমি ই প্রকৃতি ৷
যু্দ্ধক্ষেত্র
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
যু্দ্ধক্ষেত্র
রণক্ষেত্রে কৃপা নয় অব্যর্থ লক্ষ্য চাই, হিংসার আগুন
অধর্ম তা যুদ্ধে নেই শাস্ত্র্রের ব্যখ্যা তুমি যতই শানাও ৷
যুদ্ধে রথের চাকা বসে গেলে
অসহায় কর্ণ কৃপা ভিক্ষ চায় ,
শাস্ত্রের অব্যয় বাক্য ,
বিপন্নকে শত্রু হোক .মারা অনুচিত ৷
কর্ণের চক্রব্যূহে ,সপ্তরথী ,সবে মিলে অভিমন্যু মারে ৷
বালক যোদ্ধাকে ওরা অসহায় একা পেয়ে মেরেছে নির্মম
'তখন কর্ণের এই ধর্ম বোধ কোথা ছিল ' কৃষ্ণের উক্তিতে
অর্জুণের আঞ্চলিক অব্যর্থ্য লক্ষে গিয়ে কর্ণ মাথা কাটে ৷
কৃষ্ণ জানে যুদ্ধ এটা ,শত্রুদের মারা চাই যে ভাবেই হোক
যুক্তি সেটা হোক নির্দয় সম্পূর্ণ বা হোক ভুল তবুও সঠিক ৷
অধর্মের প্রতিশোধ অধর্মেই হবে যুক্তি এটা নয়
তবুও সার্থক কৃষ্ণ ,অর্জুনের,বাণ ছোটে ত্বরিত গতিতে ৷
একদিন সব দিয়েছো
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
একদিন সব দিয়েছো
একদিন না চাইতেই দিয়েছো সমস্ত আকাশ
সঙ্গে গ্রহ, তারা ,নক্ষত্রের ভীড় ;
ভাল করে উড়তে শিখিনি তখনো ৷
মহাসাগরের অসীম জলধী রাশি
একদিন দিয়েছিলে ভালবেসে সব ;
কিন্তু আমি তখনও সাতাঁর শিখছি সবে ৷
একদিন এই পৃথিবীটা সমস্তই
দিয়েছিলে অবহেলে ,
আমি নিতে পারিনি তার সব দায় ভার ৷
এক দিন তুমি সমস্ত সাম্রাজ্যভার
আমাকেই দিয়েছিলে হয়ে নতজানু ;
তোমার অসীম বিস্তার আমি বুঝতেই পারিনি
অতল গভীরে ডুবে মুক্তো খুজিনি ৷
একদিন না চাইতেই সব দিয়েছো
আজ কিছুই নেই আমার ৷
জনগণের রায়
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
জনগণের রায়
জনগন হেরে যায় বোকা বনে চিরকাল
নকল ঘুঁটিতে খেলা শকুনীর পাশাতে
হার তো হবেই ৷
রোজভ্যালী,সারদার গুপ্ত সুরঙ্গ দিয়ে
লক্ষ কোটী টাকা যায় গভীর পকেটে ৷
তারা হোটেল রিসর্ট কেনে সিঙ্গাপুর কিংবা দুবাই ;
সিনেমায় টাকা ঢালে,রাজনীতির চড়াই- উৎড়াই
পার হয় হেলিকপ্টার চড়ে ৷
মিছিল মিটিং করে অবশেষে
পার হয় নবান্নের সিঁড়ি ৷
দিল্লীর সিবিআই ,উচ্চ আদালত
ব্যর্থ হয় হাজার নিয়মের বেড়াজালে ৷
রাজ্যের পুলিশ, আইন ছত্রছায়ায়
যতদিন পারা যায় ক্ষমতায় থাকো ৷
তারপর একদিন ;
বিপ্লবের জলপ্রপাত ,পতনের শব্দ শোনা যায় ৷
জনগণ দিয়েছে রায়
তোমাদের সবার ফাঁসির ৷
আমরা বাঙ্গালী
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
আমরা বাঙ্গালী ।
হায়দ্রাবাদের ঝা চকচকে দোকান, বাজার, রা্স্তাঘাট
কলকাতা মৃতপ্রায় ছাতা ধরা বিবর্ণ মঞ্জিল ৷
দিল্লী,মুম্বাই বা চেন্নাই হাইটেক যাদু নগরী
দুঃখিনী কলকাতা বিদ্রোহে কল্লোলিনী, তিলোত্তমা নয় ৷
দূর্গা ও শ্যামা পূজোর সাংস্কৃতীর শ্রাদ্ধ প্রত্যেক বছর
বন্ধ নিশ্চই হবে রামমোহন আসবে ফিরে এই কলিযুগে৷
বঙ্গবাসী ঘেরাটোপে থাকে দূরদৃষ্টীর হয়েছে আকাল
কমপিউটারে বিদ্রোহ , আর মাস্তানী করে
এখন গিয়েছে রসাতল ৷
কৃষি বিপ্লবে ,শ্রমিক দরদে ফাঁকা বুলী সম্বল
ভারতবর্ষের কোনায় কোনায় বাংঙ্গালীর দুর্নাম
বিহারী উড়িয়া তামিল তেলেগু সামনে এগোয় যতো
আমরা বাঙ্গালী দলবাজী করি দাম্ভীক উদ্ধত ৷
বাইরে রেখোনা পা
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
হিংসার রাজনীতি
এসো আমরা ব্রিজ খেলি জানলার পর্দা দাও টেনে
নিশ্চিন্তে ঘরের কোনে বন্ধুদের সঙ্গে হোক
ঠান্ডা শ্যাম্পেন ৷
রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজুক আমাদের অতিপ্রিয়
শ্রাবণী সেনের
কলকাতা উতরোল বাইরে রেখোনা পা
ঘরে এসে বসো ৷
হিংসার রাজনীতি ক্ষমতার উল্লাসে কাঁপে চারিদিক ৷
অস্হির হাওয়া পোড়ে, মাংসের গন্ধে বারুদের ঘ্রাণ
তাড়াতাড়ি ঠিক করো কোন বাজী ধরা হবে আজকে খেলায় ৷
লেনিনের মন্ত্রশিষ্য ,মমতার উন্নয়ন ,
কথার ফানুষ ৷
ময়দানে জমায়েত,
অস্ত্র হাতে বিক্ষুদ্ধ লক্ষ মানুষ ৷
আন্দোলন,ধর্মঘট সব কিছু পরে থাক
এসো আমরা বন্ধ হই ঘরের কোনায় ,
মুরগীর কোপ্তায় শ্যাম্পনের হুল্লোড়ে ঘর ভেসে যাক ৷
সর্বহারার স্বপ্ন
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
সর্বহারার স্বপ্ন
চৌত্রিশ বছর ত কম নয়
ক্ষমতার দুর্গে থেকে শুধুই শোষণ ৷
সর্বহারা দিয়েছিল রক্ত প্রতিদান
'গনতন্ত্র জিন্দাবাদ' শুধুই স্লোগান ৷
রাজকাজ সোজা নয় ;
কথার মারপ্যাচে আর ফুলিয়ে ফানুষ
স্বপ্ন দেখানো যায় ,
মিছিলে হাটানো যায় গরীব মানুষ ৷
কারখানা,আদালত,শহর,বাজার,
বিদ্যালয় বন্ধ,প্রতিদিন ;
রাস্তায় ক্রিকেট ,তাস,
সুনশান রাজপথ ;বড়ই দুর্দিন ৷
অলস বাঙ্গালী তার যৌবন
শেষ করে তাস পাশা খেলে
যুক্তিতে ক্ষুরধার ,বেকারীর যন্ত্রনা অক্লেশে ভোলে ৷
দিল্লী,মুম্বাই,ব্যাঙ্গালোর,
চেন্নাই সবাই এগিয়ে যায়
কটক,ভূপাল,পুনে,পাটনাও
ডাক পায় জগৎ সভায় ৷
বাংলা পিছিয়ে থাকে
মার্কস আর লেলিনের অন্ধ মায়ায় ৷
স্বপ্ন জেগে থাকে তবু
সর্বহারার বুকে
কাস্তে হাতুরী তাঁরায় ৷
উদ্বাস্তু শিবির
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
উদ্বাস্তু শিবির
দুর্যোগের ঘনঘটা দুঃখের তমসা নিয়ে
আসে আশ্বিন ৷
বিহার বাংলার নদী একাকার হয়ে যায়
স্হবির দিন ৷
বন্যার ঘোলা জলে মৃত চোখে চেয়ে আছে
সূর্যে্র আলো ৷
চারিদিকে হাহাকার কান্নার কলরোল
হয়েছে জোরালো ৷
শহরে আলোর বন্যা লক্ষ লক্ষ নরনারী
পূজোর প্যান্ডেলে ৷
বুভুক্ষু মানুষের ভীড় শহরের রাস্তায়
নিঠুর জঙ্গলে ৷
বন্যার্ত ,ক্ষুধায় ক্লিষ্ট মানুষের হাহাকার
মৃত্যুর গান ৷
শরতের এ উৎসবে পূজোর আনন্দে মাতে
কাদের সন্তান ?
বাংঙ্গালীর উৎসবে শহর নগরী আর
যায় না ত চেনা ৷
পূজোর মণ্ডপে আজ উদ্বাস্তু শিবিরের
হয়েছে সূচনা ৷
-----------------------
১৯৭১ সালে লেখা , পরিমার্জনা ১0/৪/২০১৮
তবেই হবে সার্থক
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
তবেই হবে সার্থক
তুমি যখন কথা বলবে অবশ্যই হাত নাড়বে
বিভিন্ মুদ্রায় ৷
শব্দের সঙ্গে সঙ্গে হাতের আঙ্গুল নেচে যাবে
সমুজ্জল হবে তুমি পান্ডিত্যে ও প্রজ্ঞায় ৷
যখন কথা বলবে হবে না শঙ্কিত ৷
সতমিথ্যা যা ই হোক জানা বা অজানা
প্র্রতি শব্দ স্পষ্ট হবে মন্ত্র উচ্চারণে
যেন গীতা বা কোরাণ থেকে হয়েছে উদ্ধৃত ৷
যখন কথা বলবে জানবে তুমি ই ঈশ্বর
অথবা ঈশ্বরের প্রিয় শিষ্য তার বানী নিয়ে
জগতে এসেছো করতে ধর্ম প্রচার
তোমার অমূল্য বানী খ্র্রীস্ট সমাচার ৷
তুমি ছাড়া সব বৃথা ,তোমার জন্য সব কিছু ৷
সবই তোমার মায়া এবং লীলা ৷
অন্যসব পারিষদ এবং উপসর্গ মাত্র ৷
তবেই সার্থক তুমি, মানবে সবাই তোমায় ৷
ধর্ম ,ব্যাবসা,সাহিত্য, বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠার সব্বোচ্চ চূড়ায়
অবশ্যই পৌছে যাবে সবাইকে নীচে ফেলে পায়ের তলায় ৷
বিদ্র : ২০০২ সালে রচিত এখন পরিমার্জন করা হলো
অশ্লীল আড়ম্বর ৷
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
অশ্লীল আড়ম্বর ৷
ধর্ম শিক্ষার মন্দির নেই, নেই বিদ্যালয়
সারম্বরে কালীপূজো ,দূর্গা মহোৎসব
রক্তচক্ষুর শাষাণীতে লক্ষ টাকা চাঁদা
ফূর্ত্তি আর ধান্ধাবাজীর সেরা চড়ুইভাতী
লক্ষ টাকা বিসর্জণ গঙ্গা জলে মাটী ৷
উদ্ধোধনে মন্ত্রীরা ভীষণ রকম ব্যস্ত
কার পূজোটা সেরা হবে সবাই সন্ত্রস্ত
কখনও শারুখ খান কখনও শ্রীদেবী
উড়ে এসে বম্বে থেকে পূজো করে খাঁটি ৷
আজ আর রামকৃষ্ণ নেই কিংবা নরেণ
পথভ্রষষ্ট্র মাতালদের কে সামলাবেন ৷
মহাজনদের সব শিক্ষা উপদেশ
বন্দী হয়ে আছে সব বইয়ের পাতায়
রামায়ন,শ্রীমৎগীতা ফুটপথে বিকোয়
কাম এবং ধর্ম শাস্ত্র একান্তে গড়ায়৷
মন্দিরে কি শেখায় ওরা পাইনি জবাব
মাদ্রাসার অন্ধকারে কোরাণ শরীফ
মানব সেবার থেকে ধর্ম বড় নয়
গুরদোওড়া হয়ে ওঠে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ ৷
ধান্ধাবাজীর চড়ুইভাতী বন্ধ হবে কী
কোরাণ বাইবেল পাঠে লক্ষ কোটি প্রাণ ৷
রাস্তায় প্যান্ডাল বেধেঁ বার্ষি্ক বারোয়ারী
অশ্লীল নষ্ট যজ্ঞে রয়েছে অম্লান ৷
----------------
ভূগোলের পাতায় ভ্রমন
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
ভূগোলের পাতায় ভ্রমন
ধবল গিরির তূষার দেখিনি ,দেখিনি তো বার্চ হিল
উড়িনি কখনও আকাশের বুকে যেখানে উড়িছে চিল ৷
সাগরের লোণা নীল জলে নেমে দেখিনি কেমন লাগে
মরুভূমি হেটে পার হয়ে যাই মনে কি বাসনা জাগে ৷
দিল্লী ,আগ্রা, অজন্তা গুহা অনেক অনেক দূর
জানিনা কোথায় আছে সিংহল, জাভা ,বালী ,মনিপুর ৷
চেরাপুঞ্জীর মেঘ ও দেখিনি শিলং শহরে গিয়ে
হাজারদুয়ারী ঢুকিনি কখনও একটা দরজা দিয়ে ৷
আমেরিকা কই আফ্রিকা কই কানাডা কোথায় আছে
ম্যাপ খুলে বসি ইতালীর রোম চোখের পাতায় নাচে ৷
কোথায় জাপান কোথায় ফ্রান্স কোথায় ইন্দোচীন
দেশ সে কোথায় আব্রাহমের কোথায় উইন্সকীন ৷
চার দেওয়ালের মাঝে বসে বসে দিন শুধু কেটে যায়
ভূগোলের পাতা খোলা পড়ে রয় মন বসে নাকো হায় ৷
----------------------------------
বি দ্র :১৯৭০ সালে লেখা যখন লেখালেখি সুরু করেছিলাম ৷
পরিতৃপ্তি
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
তোমার বুকে ইন্দ্রপুরী ,সেতারে বেহাগ বাজে
আকন্ঠ পিপাসা ,নিবিড় করে একটা চুমুক
রোজ ভাবি, আর দেখি ৷
কফির পেলায়া নিয়ে ডুবে যাই
স্বর্গীয় সুর থেকে বহুদূর ৷
রাতে ঘুমের মধ্যে ডাকিনি তবু
তোমার মুখোশ পড়ে কেউ এলো ,
সুখের পেখম মেলে ডানা ঝটফট
যৌবনের ঋণ মেটে পরিতৃপ্তি হয়
কবুতরের বুকের ছোঁয়ায়
তোমার চুলের গন্ধ এলোমেলো ৷
সকালে জানলায় রোদ শালিকের ডাকাডাকি
তানপুরা নিয়ে আজ রবিবার ,তুমি বসেছো কী ?
তিলোত্তমা কলকাতা
Thursday, May 17, 2018, 9:38 PM
তিলোত্তমা কলকাতা
আরো কিছু শুভ্র রজনীগন্ধা
আমাদের আশেপাশে হেঁটে চলে যায় ;
যাদের দেখলে মন প্রফুল্ল হয়
অথবা গভীর দুঃখ ৷
রাস্তায় বাজারে শহরে
সর্বত্র কুৎসিৎ দলাদলি ৷
হারগিলে দালাল আর জল্লাদের
অশুভ আঁতাত
রং চটা তোবরানো সরকারী বাস
ভাঙ্গা রাস্তা ,দুপাশে নর্দমার বমি ;
শহরের বাড়ী গুলো শ্যাওলা ধরা জীর্ণ
বয়সের ভারে ন্যূব্জ;
গাড়ী ,বাড়ী ,রাস্তা, মেয়ে এবং মানুষ
চলো সবার মুখে একটু রং মাখাই ৷
স্কুলে,বাড়ীতে, শিশু,অবলা একলা নারী
পশুদের হাতে নিগ্রহ হয় রোজ,
কলংক লেগে থাকে টিভির পর্দায় ৷
আকাশে ঝুলে থাকে পেট্রোল ও ডিজেলের ধোঁয়া
মানুষের অকর্ণমন্যতা ,দৈন্য ও লোভ ৷
এসো কিছু বিশুদ্ধ বাতাস ও সুন্দর রজনীগন্ধা
আকাশের বুকে যাই রেখে ৷
কোলকাতা তিলোত্তমা হবে ঊর্বষীরা কই ৷
বিদ্র: ৫ বছর দিল্লী কাটিয়ে কলকাতা ফেরার পর প্রতিক্রিয়া ৷
--------------------
আকাশের ডিউটি
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
আকাশের ডিউটি
তখন বোয়িং ৭০৭ ছিল , ভিতরে অজন্তা ইলোরা
এবং জলসাঘরের মেলা ;
রবিশংকরের সেতারের স্বর্গীয় সুর
কী রাগে বাজছে ?রাত মোটে ন' টা ৷
হংকং, ব্যাংকক হয়ে কলকাতা মুম্বাই
বিমানবালার ওষ্ঠে হাসি লেগে আছে ,
সুগন্ধী রূমাল,টফি,খাবারের ট্রে ৷
টারম্যাকের নীল মায়াবী আলো নীচে থাকে
চিতাবাঘ লজ্জা পায় বুলেটের গতি
অবশেষে চাকাগুলো ঢুকে যায় ,ডানা দেয় মেলে ৷
মেঘের রাজ্য পাট নীচে ফেলে
ছুটে চলে তারাদের দেশে ৷
দুঘন্টা স্বপ্নের পাড়ি খানাপিনা কগন্যাক ৷
ছত্রিশ হাজার ফুট নীচে
পৃথিবীটা ঘুরছে ;
যাত্রী নাবিক আর বিমানসেবিকা
শুল্ক মুক্ত কেনাবেচা চলছে অবাধ ;
অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দু ঘন্টা বিলাসী জীবন
বারবার যাওয়া আসা সে রঙীন দিন
ধরা থাকে চিত্রপটে ৷
এখনো দেখতে পাই মনে হয় এই ত সেদিন ৷
লিমেরিক
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
লিমেরিক
ঠাকুরদাদার মামার বাড়ী ঠাকুরনগর ছিল ,
রক্ত জবা দেখতে সেথা আসেন গ্যালিলিও ;
ইচ্ছে নিয়ে করবেন চাষ
সঙ্গে এলেন কোপারনিকাস
জাহাজ ভরে সঙ্গে নিলেন চোদ্দ হাজার কিলো ৷
-------------
বললে সেদিন সকালবেলা নিত্যানন্দ খুড়ো
প্রতিদিনই হচ্ছি আমি একটু করে বুড়ো ৷
দাঁত গুলো সব এক এক করে
নিয়ম মতো পড়ছে ঝোরে
ভাবছি এখন কেমন করে খাব মাছের মুড়ো ৷
---------
এক বুড়ো বট গাছ বাড়ী ছিল নিমতে
সেই গাছে বাস করে টিয়া পাখী তিনটে
একদিন রাত্রিরে
আকাশের বুক চিরে
বিদ্যুৎ ছুটে এসে দিল রাম চিমটে ৷
--------------------
এগুলো ১৯৭১ সালে লেখা : শ্রদ্ধেয় প্রয়াত কবি শান্তশীল দাসের অনুপ্রেরণায়
যদি জানতাম
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
যদি জানতাম
তুমি চলে যাবে জানলে
অর্ধেক আকাশ আমি তোমাকে দিতাম ;
প্রিয়তম মানালীতে হাতে হাত রেখে
ত্রিরিশ বছর ঘুরে ফিরে দেখতাম ;
নাবলা কথার রেশ ,না ছোওঁয়া শরীর
আবার নতুন করে সাজিয়ে নিতাম ৷
তুমি যাবে জানলে
আকাশের বুক চিড়ে পদ্ম ফোটাতাম
সমুদ্রের গভীরে এক ঘর নিয়ে
সুখের চাদরে ঘেরা ঝিনুকের বুকে
ভালবাসার রক্ত দিয়ে মুক্তো ফলাতাম ৷
তুমি যাবে জানলে
যমকে ঘরের বাইরে
মিষ্টি কথায় ভোলাতাম ;
আমাদের না বলা কথা
হাজার বছর ধরে বলেই যেতাম ৷
জীবনানন্দ দাশ ৷
Friday, May 18, 2018, 10:08 AM
জীবনানন্দ দাশ ৷
পঞ্চাশ বছর আগে হেমম্তের এক ম্লান বিকেলে
নাটোরের বিদগ্ধ কবি অকস্মৎ তারাদের ভীরে ৷
বৃদ্ধ পেচাঁ বসে ছিল হিজলের ডালে কিংবা ছাদের কার্নিশে
সোনালী ডানার চিল ক্লান্ত হয়ে অবশেষে কোথায় আকাশে ৷
পাখীর নীরের মতো চোখ তুলে চেয়ে ছিল বনলতা সেন
তবু তুমি চলে গেলে মিটিয়ে জীবনের সব লেন দেন ৷
কাঠাঁলী চাপার ফুলে চড়াই পাখীর ঠোট ছিল নাকি গোজাঁ
বাংলার ক্ষেতে ক্ষেতে ঝরছিল খই আর মৌরির ধান
হেমন্তের মরা রৌদ্রে শালিখেরা ভীড় করে এসেছিল বুঝি
বাসমতী চালে ধোয়া সাদা হাত কিশোরীর রেখেছিল বুকে ৷
মৃত নক্ষত্রের বুকে কুয়াসায় ভেসে ভেসে অবশেষে
এসেছিলে এই খানে কার্তিকের নবান্নের দেশে
শংখচিল শালিক কিংবা ভোরে ডাকা কাক
লক্ষ্মীপেচাঁ ডেকে যায় কদমের ডালে বসে রাত্রী গভীরে
বাংলার নদী ,মাঠ ঘাট সর্বত্র তুমি আছো ৷
তুমি আছো ধানসিড়ি নদীটীর তীরে ৷
বি.দ্র :গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা , ২০০২ সালে রচিত ৷
যদি
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
যদি
আকাশ যদি ছন্দ হয়ে ভর করত আমার হাতে
বৃষ্টি যদি নাচত ভুলে টিনের চালে এই প্রভাতে
আমার তবে স্ফূ্তি হোত
ভর্তি হোত খাতা যতো
বই র পরে বই বেরতো নাম কিনতাম কয়টি রাতে ৷
পাখীর গানে আমার হৃদয় ভরতো যদি দুটো বেলাই
কুলু কুলু শব্দে নদী নিত্য যদি করতো খেলাই
কাব্য তখন আমার হতো
বিদ্ব জনের মনের মতো
নুতন নুতন তত্ত্ব কত ভিরতো এসে কাব্যে মেলাই ৷
আমার যদি চাকরি হতো হাজার টাকা মাইনে কোথাও
কিলবিলিয়ে জুটতো লেখা লিখতে হতো আঙুল ব্যথাও
আমার যদি থাকত বাড়ী
ঠান্ডা করা মস্ত গাড়ী
তবে আমার ছুটত লেখা পাল্টে দিত সমাজ প্রথাও ৷
---------
বি.দ্র: ১৯৭১ সালে লেখা ,কলেজ ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল
কর্মযজ্ঞ
Thursday, May 17, 2018, 5:21 PM
...কর্মযজ্ঞ
সকালে বাতাস মন্দ মধুর
অপরূপ মোহময়
বর্ণ গন্ধ লাবন্য মেখে
ফুল কত ফুটে রয় ৷
পাখীর কূজন ফুলের সুরভী
স্নিগ্ধ মমতামাখা
ভেবেছ কখনও কিসের জন্য
এত আয়োজন রাখা ?
ভেবেছ কখনো অপ্সরা ওই
ফুলের জন্ম কথা ?
ছোট্ট কুড়িটী গোপনে কেদেঁছে ,
অস্হির নীরবতা ৷
কত সাধনার অমৃত ফল তিলেতিলে সঞ্চয়
কি ছিল পিছনে ভেবেছ কখনও
কেন হল তার জয় ?
ঘুমিয়ে কখনও ফোটান যেতনা
সুরভিত ঔ প্রাণ
অবিরাম তাকে জপিতে হয়েছে
জাগিবার মহা গান ৷
নদী উদ্দাম কলকল ছোটে
বন্ধন হীন ধারা
গতি যদি হয় দিশাহীন তবে
বালুকাতে হবে হারা ৷
জীবনের এই কর্মযজ্ঞে
নিজেকে ব্যাপ্ত কর
ফুলের মতন ফুটিয়া উঠিয়া
সুরভিত কর প্রাণ ,
তটিনীর মতো হও দু্র্বার সূর্য্য জ্যোতির্ময়
মানুষের মাঝে মানুষের কাজে
হয়ে ওঠো নির্ভয় ৷
ঈশ্বরের সমাধি
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
ঈশ্বরের সমাধি
ঈশ্বরের অস্তিত্বকে নিষাদের তীর ছুড়ে
মনের জঙ্গলে আমি শেষ করে দেব ৷
আর যেন বারবার লোভে কিংবা অনুরোধে
তোমার সত্বাকে আমি কিছুতে না মানি ৷
প্রকৃতির রহস্য আজ কিছু বাকি নেই
তবে কেন অহরহ মিথ্যে সংশয় ?
বিজ্ঞান আর যুক্তি দিয়ে সমস্ত খন্ডন
ভগবান কল্পনায় অর্বাচীন মন ৷
ঈশ্বরের অস্তিত্বকে মনের জানালা দিয়ে
ঠিক আমি ঠেলে ফেলে দেব ৷
প্রতিটি মুহূ্র্ত্তে নত আমার ব্যক্তিত্ব
কাল্পনিক পায়ে কেন মিছে মারা যাবে ?
মিশরের পিরামিডে ঈশ্বরের কবরের করেছি বিধান ৷
উৎসবের কলকাতা
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
উৎসবের কলকাতা
রাতের কোলকাতা শারদ উৎসবে মত্ত কোলকাতা
কর্কট রোগের কষ্ট ,এডসর কথা,
হাজার বাতীর রোদে ,হাজার গানের শব্দে
ভুলে গেছে ৷
প্যান্ডাল একদম কাশী বিশ্বনাথ
যুরী বিচারে এক নম্বর ৷
চারদিনের বঙ্গ বিলাস ৷ লক্ষ লক্ষ নয়ছয় ৷
সারাবছরের শিল্প প্রতিভা ,আলোর কারসাজী ,
সব ভেঙ্গে নির্লজ্জ বিসর্জন বিজয়া দশমী ৷
কয়েকটা তাজমহল অনায়াসে করা যায় খরচ বাচাঁও
প্রতিভা ও অর্থের লজ্জাকর অপচয় ,দূষণ প্রচুর ৷
সুন্দরী শরৎকে দেখে ঈ্র্শাকাতর কলকাতা ৷...
মৃত্যু পথযাত্রী কলকাতা ৷
মগ্ন হয়ে আছে ব্যর্থ প্রচেষ্টায় ৷
কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে একান্ত নিষ্ঠায় ৷
অদৃশ্য ভগ্নদূত ৷
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
অদৃশ্য ভগ্নদূত ৷
অফিসে রোজ যেতে হয় ,
ধূলো,ময়লা আর ডিজেলের ধোঁয়া
রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম,
মিছিল মিটিংয়ে বিদ্ধ সমস্ত শহর ৷
সকালে বাজারে যাই ব্যাগ হাতে
তাড়াতাড়ি চা খাওয়ার পর
যদিও বুকের বা দিকে ব্যাথা ,
ভুুলে থাকি সারাক্ষণ ৷
ডাক্তারের উপদেশে সিগারেট
অবশেষে বন্ধুত্ব হারায়
প্র্র্র্রাণায়াম,ক্রাটিগাস
সর্বদা সাবধান ,খাওয়া পবিমিত ৷
বুকের ব্যথা কমে গেলে শেষে
আবার ধরাই সিগারেট
এমনি করে লুকোচুরি খেলি
জীবন কখনও মৃত্যু ৷
দিনরাত্রি আমার পিছনে
কে যেন ছায়ার মতো
কারো অদৃশ্য হাত আমার কাধের 'পর
সযত্নে রক্ষিত ৷
মিনিবাসে রূপসীর খোলা পিঠ
সমুদ্রের বেলাভূমি ,
আমাকে বিদ্ধ করে
নিয়ে যায় দীঘার সৈকতে ৷
ডিজেলের ধোয়া যেই নাকে যায় বুকে ব্যথা ওঠে
অদৃশ্য ভগ্নদূত হেসে ওঠে, বিদায় জানায় ৷
মহাসমুদ্রের গান
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
সমুদ্রের বেলভূমি নিঃশব্দে মাড়িয়ে,
লাল কাঁকড়াদের দেশ ছাড়িয়ে
সন্ধার অন্ধকারে সমুদ্রের লোণা জলে
চলো পা ডোবাই ৷
অনন্ত যৌবনা কুমারী ঢেউ
পদতলে আসে,
সঙ্গোপনে প্রেম জানায়
কোথাও নিয়ে যেতে চায় ,
কোন গোপন ঠিকানায় ৷
হোটেলের জানালায় হুহু করে
ঢুকে পড়ে উদাসী বাতাস
আমাকে জাপটে ধরে
প্রেয়সীর মতো দেয় উষ্ণ চুম্বন
ফিসফিস কত কথা
অনন্ত রহস্যে ঢাকা ,
আহ্বান করে যেতে দূর নীলাকাশ ৷
ট্রেনে বাসে যেতে যেতে
একঘেয়ে মৌন মিছিল ,
কারো চোখে হাসি নেই,
বিরক্তির হিমেল পরশ ৷
অন্তহীন নীলাকাশে লক্ষ নক্ষত্র
জেগে আছে কালহীন অনন্ত সময় ৷
সমুদ্রের লোণা জলে পা ডুবিয়ে
চলো বসি
সারা রাত মহাসমুদ্রের গান
আর তুমি ঊর্বষী।
পরশমণি ৷
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
পরশমণি ৷
বাসে উঠলে একটাই স্বপ্ন
কোন সীটে বসা যায়
কোন রমনীর উষ্ণ শরীর ঘেসে
দাঁড়ানো যায় অবজ্ঞায় ৷
বাসের ঝাকুনী
হঠাৎ হাওয়ার ব্রেক
রমনীয় ঘ্রাণটুকু শুষে নাও প্রাণে ৷
বসতে না পারলে দুঃখ নেই ,
আনন্দের হাট সরবত্র ছডিয়ে ৷
বাসে উঠলে শুধুই মতলব
কোন সীট হবে খালি৷
কাকচরিত্র বুঝতে শেখ,
লজজার মাথা খেয়ে জেনে নাও
কোথায় নামবে কখন ৷
কাধেঁ রাখবে একটা ঝুলন্ত ব্যাগ
মস্ত ঢাউস
সেটা দিয়ে সন্তর্পনে
গুতো দিয়ে চলে যাও
অনদরমহলে ,
প্রারথিত আঘ্রাণ নিতে ৷
মেয়েদের কাঁধে একটা হাতে একটা
অবশ্যই দুটো ব্যাগ থাকা চাই
কী এক রহস্য আছে ,
একদিন খুলে দেখে নিতে হবে ৷
যাত্রীদের য্ন্ত্রর্ণা বাড়ে ,বাস যত আস্তে চলে
রাস্তায় বিষঁধোয়া ,সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত ৷
এর মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে স্বপ্ন দেখে জীবন সৈনিক
কাঙ্খিত পরশমণি হাতের মুঠোয় প্রায় হঠাৎ সজীব ৷...
কে দেবে উত্তর
Friday, May 18, 2018, 11:17 AM
কে দেবে উত্তর
আশারাম ঘর ছেড়ে চলে যায় যখন নিতান্ত বালক
তারপর টাংঙ্গাওলা হয়ে সুরু জীবন সংগ্রাম ।
চাতুর্য্য, মেধা আর ভাগ্যের জোরে ভগবান ।
লক্ষ লক্ষ শিষ্য তাদের জীবন যন্ত্রনায়
ফুল পাতা পাদোদক ,রুমাল থেকে বেড়াল, আস্হা অর্জণ ;
আশ্রমের ডালপালা একর একর জুড়ে শহরের বুকে
স্কুল ,কলেজ, হাসপাতাল ,মন্দির টিভি চ্যানেল
গুরুর প্রাত্যহিক বানী ভক্তদের জীবনে দেয় প্রশান্তির আলো,
সংকট মোচনে দেয় আশা ,বাচাঁর প্রেরণা ।
ক্ষমতা ও ঐশ্বর্য লাগাম ছাড়া হলে
মানুষ একদিন পাগল হয়ে যায় তারপর শয়তান ।
সংসার সমুদ্রে অশান্তির ঢেউ তুলে বিদ্ধস্ত রমনীরা
সুখ,সম্পদ ও মান নির্ভয়ে তুলে দেয় দেবতার পায়ে ।
কাম মোহ নিত্য নতুন নারীর পেলব পরাগ
নষ্ট ফুলের মধু শেষ হলে কুড়িঁতে সোহাগ ।
হাজার রমনীর অতৃপ্ত সমুদ্রে করেছেন স্নান
মন্হন শেষে অমৃত বারী করেছেন পান
পৃথিবী হাতের মুঠোয় ;মন্ত্রী নেতা শান্ত্রীরা
করজোরে অপেক্ষায় ভিতরের ঘরে ,আশীর্বাদ চাই ।
বাচ্চা ফুলের পরাগ কেশর নিয়ে পরীক্ষায় ভগবান
ভক্তের জীবন ধন্য হয়েছে, সেরে গেছে রোগশোক ।
পচা শামুকেই কাটলো পা গ্যাংরীণে ধরলো পচন ।
আশারাম ভগবান তাকেই শাস্তি দেবে সামান্য মানুষ ?
পরশুরামের সঙ্গে টক্কর, নিচ্ছে ন্যায়ালয় ।
বৈদিক যুগ হলে ভস্মই করে দিতেন সমস্ত সংসার ।
ক্যানসার বেধেঁছে বাসা সমস্ত রক্ত গেছে পচে
একজন অশীতিপর বৃদ্ধকে ধরে তাকে শাস্তি দিলে
গ্যাংরীণ ভালো হবে?কাটবে বিপদ ?
প্রশ্ন করতে হবে আজ সমস্ত মানুষকে ৷
ভক্তদের জ্ঞান চক্ষু কবে খুলবে ?কে দেবে উত্তর ?
-----------------------------
চতুর্দিকে অগ্নুৎপাত
Friday, May 18, 2018, 8:30 AM
চতুর্দিকে অগ্নুৎপাত
চতুর্দিকে অগ্নুৎপাত লাভা গালা গলিত তরল
রাত্রির অন্ধকারে নক্ষত্র সাক্ষী রেখে যুবকের লাশ ৷
কর্কট বেধেছে বাসা সমস্ত রক্তকে আজ পাল্টে দিতে হবে
নকশাল বাড়ী থেকে আদর্শের হাতছানি তোমার সম্মুখে ৷
তোমার যুবক মন ধনুকের মতো বেকে ভ্রু কুঞ্চিত করে ৷
দারিদ্রের মধ্যে বাড়া অসমাপ্ত শিক্ষা নিয়ে তুমি বিপ্লবী ,
আজন্ম অবহেলা উন্নাসিক অপমানে ক্লিন্ন হয়ে আছো ৷
সম্রাট সমাজ তোমায় কী দিয়েছে ?
কী কর্ত্তব্য ভেবেছো কখনও ?
চতুর্দশ নীতি নিয়ে সাহিত্যের আন্দোলন রাজনীতি থাক
তোমার বাচাঁর জন্য আলোর ঝর্ণাধারায় একটা আকাশ ৷
এভাবে কী বাঁচা যায় ?হাড়পেশী বারবার বিদ্রোহ জানায়
তুমিত অভাবে ক্লিষ্ট ,কল্পনাবিলাস তোমার মুহূর্ত্তের নয় ৷
পুলিশের বেয়নেট রাজপুত্র রাজপথে গড়াগড় যাক
রক্তের হিসাব তারা বুঝে নিক
আদিবাসী যুবকেরা হয়েছে উন্মাদ ।
নিজেকে সাজিয়ে তোল পরিপূর্ণ রূপে রসে সুস্হ জীবন
তখন বিপ্লবী তুমি আদর্শের ঘেরা টোপে হবে না বিলীন ।
সংস্কৃতি বয়ে যাক শিক্ষার রাজপথে আলো জ্বেলে দিক
মহান আদর্শ নিয়ে অলীক চেতনা তোমায় দেখাবে সঠিিক ।
----------------------
রচনকাল 14/9/1971 , সম্পাদনা 15/4/2018
------------------------
রঙীন ছবির বই
Friday, May 18, 2018, 8:28 AM
রঙীন ছবির বই
কোট,প্যান্ট টাই পরা কুমীর আর শেয়ালের গল্পের বই
আমাদের ছেলেবেলা কেটেছে অনেক দিন রমলার সাথে
রঙীন ছবির সাথে গল্প আর খেলা করে কেটেছে দুপুর
কাঁচা আম নুন সহ রমলার হাত ধরে ঘুরেছি অনেক ৷
নাচের স্কুলে আমিই পৌছে দেই প্রতি রবিবার ;
হাত ধরে নিয়ে যাই রাস্তা পার করি অতি সাবধানে ।
ওর মায়ের অনেক ভরসা ছিল আমার উপর ।
দেখতে দেখতে আমরা বড় হয়ে যাই ;
রমলার শরীরটা অদ্ভূত ম্যাজিকে এক রাজকন্যা হয় ৷
আমি নিতান্ত এক সরল বালক মাত্র
ওর চোখের কোনায় দেখি বিদ্যুতের হাসি ৷
রাস্তার রুস্তম যুবকরা ওর বন্ধু হয়ে যায়
আমাকে দেখলে এখন আর না চেনার ভান
সর্বদাই ব্যাস্ত দেখি কি ভীষণ কাজ
সময় পাল্টে গেছে ,পাল্টেছে সমাজ ৷
কোট,প্যান্ট টাই পরা ভালুক আর শেয়ালের গল্পের বই
এখন পড়ছি না আর ,রমলার বন্ধুদের সঙ্গে করছি হইচই ৷
-----------------------
রচনাকাল 1971 , পরিমার্জণা 11/5/2018
স্বার্থপর দৈত্য
Friday, May 18, 2018, 5:00 AM
স্বার্থপর দৈত্য
শেয়ার বাজারে পেন্ডুলাম ছুয়ে হেঁঠেছি অনেক ৷
উপর নীচ করে করে নাগরদোলায় কেটেছে জীবন
কেনাবেচা অংক কষা শুধু লাভ লোকসান ৷
তাকানো হয়নি চারপাশে ,প্রজাপতির রঙীন পাখায়
নীল আকাশ ঝুলে থাকে শঙ্খচিল পাখীর চীৎকার ৷
টুনটনি নেচে চলে পেয়ারার ডালে ডালে নতুন পাতায় ৷
চার দেয়ালের মধ্যে থাকা ভাঙা গড়ার খেলা
দুঃখ কষ্ট সুখ ও অসুখ প্রতিদিনের মেলা
প্রিয় সম্পর্ক নষ্ট হয় ধূলো মাটি পলেস্তরায় ৷
সুযোগ হারাই হীরে চুনী পান্না নষ্ট হয়ে যায় ৷
একদিন সবাই চলে যায় সময়ের অলীক মায়ায়
শেয়ারের পেন্ডুলাম এখনও দুলছে দেখি অবিরাম
হাতছানী দিয়ে বলে
কুবেরের ধন আছে ,নিও না বিশ্রাম ৷
মাতাপিতা পুত্র কন্যা পরিজন সকলেই সরে যায়
দূর থেকে দূরে ৷
আমি থাকি স্বার্থপর দৈত্যের মতো নিজের বাগানে
হৃদয়ে রক্ত খুড়ে খুড়ে ৷
-------------------------
দেশের কাজ
Friday, May 18, 2018, 4:13 AM
দেশের কাজ
পথ চলতে হবে যখন হেলাফেলা কেন
জমিতে চাষ করবে যদি ফেলতে হবে খাদ ৷
স্রোতের টানে যদি এগোও সামনে দেখে নাও
বসে থাকার সময় এ নয় মাটিটা কোপাও ৷
এক মিনিট ও নষ্ট না হয় প্রস্তুতির এই ধাপে
প্রত্যেক দিন প্রশ্ন কর নিজের এই সত্ত্বাকে
কতটুকুন এগিয়ে গেছি সুদীর্ঘ এই চলায়
উঠতে গিয়ে পা পিছলে না পড়ে যাই তলায় ৷
লক্ষ্য হবে এগিয়ে চলার ,উন্নতি সার্বিক
পরিবারের সঙ্গে বাড়ুক দেশ ও দশের সুখ ।
বড় হওয়ার মূল মন্ত্র দেশের সেবা করা
গন্ডী কেটে বদ্ধ হলে সার্থক নয় চলা ৷
কিশোর তুমি সাধনা আর প্রতিশ্রুতি নিয়ে
এগিয়ে চলো দাড়াঁও নিজে মহীরূহের মতো
কিন্তু তোমার চিন্তা হবে নশ্বর এই প্রাণ
দেশের কাজে বিলিয়ে হবে অমৃত সন্তান ৷
তোমার সাথে দেখা হ'লে
Friday, May 18, 2018, 9:46 AM
তোমার সাথে দেখা হ'লে
সবচেয়ে গমগম রাস্তাটার মোড়ে
সবচেয়ে জমকালো দোকানের ভীড়ে
ঘন্টার সঙ্গে আমি পাল্লা দিতে পারি
সিগারেট মুখে দিয়ে করে পায়চারী ৷
জীবনটা এইভাবে সুদৃশ্য মোড়কে
সাজানোর ইচ্ছে ছিল লোক কোলাহলে ৷
উটের গ্রীবার মতো চোখ নিয়ে
মানুষকে দেখে যাবো কৌতুহলভরে ৷
ঘন্টার পর ঘন্টা কাটে
তোমার দেখা নাই ,
ধোঁয়া ওড়াই গল্প করি আর আশ্বিনের গান
রাতের কড়া নিয়ন আলো
বিসমিল্লা সানাই
তোমার সাথে দেখা হলে তবেই পাবে প্রাণ ৷
বিদ্র: ১৯৭১ সালে লেখা , পরিমার্জনা ১৫/৪/২০১৮
স্বর্গ কোথায় আছে
Thursday, May 17, 2018, 10:28 PM
স্বর্গ কোথায় আছে
স্বর্গ কোথায় আছে ,কাশ্মীরে ঝীলমের পাড়ে ?
ডাল লেক ,দারুচিনী বনে কিংবা মোগল গার্ডেনে ?
ডালহৌসী পাহাড়ের স্বপ্ন মাখা গ্রাম ,নৈনিতাল
রাণীক্ষেত ,মানালীর রোটাং পাসে স্বর্গ কানন ?
স্বর্গ কোথায় আছে? পাঁচতারা হোটেলের নাইট ক্লাবে ?
ছত্রিশ হাজার ফুট বোয়িংএর পেটে সঙ্গে বিমান সুন্দরী
তার হাতে সুরা পান ,হাতে হাতে আইসক্রীম কিংবা বিরিয়ানী
অথবা রেসের মাঠে ,শেয়ারের কারবারে মুনাফা অঢেল
কোথায় শান্তি আছে সুখের অলকানন্দা ,স্বর্গ মন্দাকিনী ?
কেউ তাস খেলে শান্তি পায় ব্রীজ,ফিস কিংবা রামী
কেউ মদ খেয়ে বেসামাল ,কালীঘাট ,খেলে কানামাছি ।
স্বর্গ কোথায় আছে ?সন্ধ্যার হাতীবাগান কিংবা গড়িয়াহাট ?
ডানাকাটা সুন্দরীরা কাজুবাদামের মতো মসৃন পেলব ।
চরাচর ভুলে তুমি সমুদ্রে দিয়েছো ডুব যদি পাওয়া যায় ,
কোথায়ও পাওনি খুজেঁ স্বর্গারোহনের সিড়ি ,স্বর্গ মঞ্জীল ;
চলে গেছ বেনারস ,বৃন্দাবন, হরিদ্বার, পুরী
কোথায়ও স্বর্গ নেই,তৈরী করতে হবে তাকে নিজের চেষ্টায় ।
রমনীর ওষ্ঠাধরে নাভীমূলে কিংবা জংঘা যোনীদেশে
কোথায় কামরূপ কামাখ্যা, স্বর্ণ গুহা ,স্বর্ণ মন্দির ;
সেতারের রাগিনীতে ,রবীন্দ্র সংগীতের ঝর্ণা ধারায়
কোনখানে স্বর্গ আছে তৈরী করো ,খুঁজে নাও সুখের মঞ্জীল ।
বিদ্র : রচনাকাল 14/12/2001 সম্পাদনা 10/5/2018
https://www.facebook.com/panihaty
----------------------------
রোজ যু্দ্ধ নয়
Friday, May 18, 2018, 4:53 AM
রোজ যু্দ্ধ নয়
সূর্য্যের নরম আলো চিনারের পাতা ছুঁয়ে শহর রাস্তায়
জাহাঙ্গীর,নূরজাহান এখন ও জীবন্ত আছে শালীমার বাগে ।
জঙ্গী রক্তবীজ পাহারায় বসে আছে গোলাপের নীচে ।
কাশ্মীর তোমার নয় কাশ্মীর আমার নয়
উৎসর্গে দেওয়া আছে দেবতার কাছে ।
বিশেষ আইন দিয়ে বাধাঁ আছে ঝীলমের তীর
ভারতে থেকেও এরা পরদেশী ,ভারতীয় নয় কোনভাবে ।
এদের স্বপ্ন আশা দূরাশার ঘনঘোরে বস্তাবন্দী আছে ।
আমাদের বন্ধু হাত এদের দূরাশাকে করেছে অস্হির ।
ছাত্র ,যুবা,গৃহবধূ সবাই রাস্তায় ,প্রতিরোধে
ঘৃণা হিংসায় উন্মত্ত জনতা আজ পাথর খন্ডকে
করেছে কামানের গোলা ,
জঙ্গীর রক্তবীজ প্রত্যেক ঘরে ঘরে বাড়ছে দাপিয়ে ।
ঝীলমের স্বপ্ন, গঙ্গা কাবেরীর স্বপ্ন কখনও এক নয় ।
দেবরাজ ইন্দ্রকে হতে হবে কঠিন কঠোর ,
উৎসর্গে দিয়ে রেখে রাজনীতি চালাকী আর কত দিন ?
ভেঙ্গে দাও মেরুদন্ড ভেঙ্গে দাও স্বপ্ন গভীরে ।
আমরা সবাই সমান এই রাজার রাজত্বে ।
বিহার ,বঙ্গ ,উড়িষ্যা সবাই আসুক ,বসাক ঘর এখানে
তামিল ,তেলেগু, পাঞ্জাবী, ঝীলম গঙ্গায় যাক মিশে ।
বিশেষ আইন আগুনে পোড়াও দিল্লীর রাজপথে ।
গৃহ যুদ্ধ হয় হোক ক্লীবত্ব যাক ঘুচে
রোজ যুদ্ধ নয় ,একদিন হয় হোক ।
সিদ্ধান্ত নিতে হবে ;
শিখন্ডী রাজার যুগ আর নয়
নতূন সূর্য্য আজ দিগচক্রবালে ।
---------------------------
https://www.facebook.com/panihaty
অবতার ভগবান
Thursday, May 17, 2018, 5:30 PM
অবতার ভগবান
কামিনী কাঞ্চণ পরিত্যাগ করো যদি চাও মোক্ষলাভ
টাকা পয়সা বিষয় আশয় ছেড়ে দিয়ে জপো কালীনাম ;
যদি তোমার বিত্ত হয় উদ্বৃত্ত দান ধ্যান কর সাধু সজ্জনে
বিজ্ঞানে বিশ্বাস অভক্তির লক্ষ্মন বিধাতার অসন্মান ।
কর্তব্য রত ডাক্তারকেও করেছেন অপদস্হ
বাড়ীতে তবুও আসতেন রোজ রোগীকে দেখতে ,
করতেন না অবহেলা ।
বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কুযুক্তি দিয়ে করেছেন বাজীমাত ;
ভক্তরা সংখায় বেশী গুরুদেবকে সমর্থন করা চাই
যে কোন বিষয় হোক ।
ভক্তরা জানে রোগকষ্ট মিছেই ,গুরু নিয়েছেন নিজে ।
এক লহমায় সাড়াতে পারেণ মৃত্যু কঠিন ব্যামো
ভগবান তিনি অবতার হয়ে মানব জীবনে ব্যাপ্ত ।
শিষ্য আর ভক্তদের রোগমুক্ত করতে
হয়েছেন নীলকন্ঠ, করেছেন বিষপান ।
পুরুষকে বলেছেন নারী মোহ ,সংসার বন্ধন ।
উদবুদ্ধ হয়েছেন হাজার তরুণ ঘর সংসার ছেড়ে
মায়ার বন্ধন কেটে হয়েছে সন্ন্যাসী কিসের আশায় ?
গৃহী ,সংসারী ,নারী ,পুরূষ সবাই সমান
তাকেই মেনেছে অবতার ,ঈশ্বরের বরপুত্র ।
পৃথিবী অদ্ভূত সব গোজাঁমিলে ভরা বিচিত্র মানুষ
এদের মনের ঠিকানায় তুমি পেয়ে যাবে ভগবান
বিচার বুদ্ধি বিজ্ঞান নিয়ে কাজ নেই আর বৃথা
অবতার তিনি ঈশ্বর নিজেই বলেছেন সেই কথা ।
------------------------
কবিতার জন্য
Thursday, May 17, 2018, 3:02 PM
কবিতার জন্য
মাঝে মাঝে মনে হয়
হয়তো আর ইচ্ছে মতো
কবিতার শরীরটাকে ঠিক মতো গড়া যাবে না ৷
এলোমেলো চিন্তার বাসী পচা জলে
শব্দের মনি মুক্তো অতলে হারায় ৷
সারাদিন সারা রাত খুজঁতে খুজঁতে
রাজপথ উটকো গলি অন্ধকার ;
কখনও বেপরোয়া রাস্তায় রকবাজ
অশালীন প্রজাপতী মন্তব্য ছুড়ে ছুড়ে
রাস্তার ডানাওলা মেয়েদের পিছু পিছু
কবিতার শরীরের মেদ মাংস রক্ত প্রাণ
গড়ে নিতে ছুটে যাই ৷
কবিতাকে খুজে পেতে
এটম বোমার শব্দ
নদীর মতন বহতা এক বিগলিত নারী
দপদপে বেয়াড়া এক সূর্য্যের সন্ধানে
চব্বিশটা ঘন্টা আমি রাস্তায় কাটাই ৷
-----------------------------
রচনাকাল 9/9/1971 পরিমার্জনা 15/4/2018
-----------------------------
যুদ্ধ আর নয়
Thursday, May 17, 2018, 3:02 PM
যুদ্ধ আর নয়
কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ কিছুতেই বন্ধ হয়নি
কৃষ্ণের সব দ্যূত কর্ম বৃথাই গেছে জলে ।
কুরুবংশ ধ্বংস হয়ে গেছে সঙ্গে আরো কত রথী মহারথী ,
পান্ডব পায়নি শান্তি যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ও।
ভারত পাকিস্হানের যুদ্ধ অহরহ
কখনও মুখোমুখি
কখনও মেঘের আড়াল থেকে ইঙ্গিতে ইশারায় ।
দূর্জোধন নেই দুঃশাসণ নেই
নেই শকুনীর পাশা
জীবন্ত আগ্নেয়গিরি নিয়ে সত্তর বছর
কাশ্মীর আজও কাঁদে মৃত্যু যন্ত্রনায় ।
শান্তি ই শেষ কথা বলে পৃথিবীতে চিরদিন
অপরিণামদর্শিতা দেখেছে ইতিহাস
শেখা বাকী এখনও অনেক কিছু ।
সহস্র কোটী টাকার যুদ্ধ সরঞ্জাম ;
সৈনিকের মৃত্যু মিছিল নাগরিক যুদ্ধে সামিল
প্রতিদিন ;
এর থেকে মুক্তি পাওয়া এতই শক্ত কিছু ?
মানতে পারি না আমি ।
যুদ্ধবাজ, স্বার্থপর,ক্ষমতালোলুপ নেত্রীবৃন্দ
আপন খেয়ালে ঝামেলা পুষতে চায় ।
মন্দাকিনীতে স্নান করে এসো শুচি হোক মন প্রাণ
নন্দন কানন সুরভিত হোক মানুষের সুখ উল্লাস ।
তিন কাশ্মীর এক আকাশে একটাই রামধনু
শপথ নিয়েছে সবাই এবার হাত ধরে চলবার ।
বন্ধ হোক আগুনের গোলা ,বন্ধ হোক যুদ্ধ বিবাদ
বছর বছর দান খয়রাত ,রক্ত হোলীর খুন সন্ত্রাস ।
হাত ধুয়ে ফেলো সব দায় থেকে
বন্ধু রাষ্ট্র হোক পাকিস্হান সঙ্গে থাকুক চীন ;
সীমান্তে ফুটুক গোলাপ বাগান ,কোকিলের কলতান ,
সন্ত্রাস যাক মুছে ।
সার্বভৌম অধিকার নিয়ে থাকুক সবাই সুখে ;
আমরা নেতা সবাই সমান শান্তির সাথে সাথে ।
দূর্জোধন থাক দুঃশাসণ থাক
থাক শকুনীর পাশা
যুদ্ধ আর নয় বন্ধুত্বই হোক
নতুন যুগের ভাষা ।
মন্ত্রপাঠ
Thursday, May 17, 2018, 3:02 PM
মন্ত্রপাঠ
যাজ্ঞবল্ক্যের মন্ত্র পড়া জল ছিটালেই
বিড়াল হবে কুকুর কিংবা ব্যাঘ্র থেকে ইদুঁর ;
সেই বিশ্বাস নিয়ে বৈদিক মন্ত্রের জয়গান
পূজা পাঠ যজ্ঞ সমস্ত শুভকাজ
সংহিতার চৌকিদার দিব্যি করে যান ৷
মানুষ চাঁদে যায় বুধে যায় রোবট বানায়
নিজেকে ধ্বংস করে নিজেকে সৃষ্টি করে
আপন গরিমায় ৷
মন্ত্রপাঠ পূজা আদি হরপ্পার সভ্যতা
এখন যুগের কাছে হাস্যকর প্রথা ৷
মন্ত্রপাঠ ধর্ম নয়,ধর্ম আছে প্রাণের গভীরে ৷
সংহিতার বিধিনীতি, মনগড়া দেবদেবী, নিত্য আরাধনা
সভ্যতার অপমান বিদ্যা ও বিজ্ঞানের শুধু বিড়ম্বনা ৷
মানুষ যখন শহর গড়ে, চাঁদের বুকে পাহাড় কাটে
যাজ্ঞবল্ক্য ব্যস্ত থাকে মন্ত্র নিয়ে পূজাপাঠে ৷
-------------------------
কবিতার ব্যর্থতা
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
কবিতার ব্যর্থতা
কবিতায় বাণী গুমরে কাদঁবে
বলবে না সে কথা
কলা বৌ হয়ে থাকবে আড়ালে
লজ্জায় অবনত ;
বোরখার আড়ালে নিয়ে
কবিতার হিজিবিজী
সযত্নে লুকিয়ে রাখো ।
আড়াল না করলে পরে কেমন করে ঢাকবে
চেহারার দীনতা ,
পৃথিবীতে নারী বা পুরুষ
কজনেই বা সত্যি সুন্দর ?
চেহারা সুন্দর হলে রেশমী কাপড়ে মুড়ে চোখে মুখে রং
বলিষ্ঠ ঘোষণা হলে পেশী বহুল পৌরুষ শব্দের মালা ;
চোখে চোখ রেখে হাতে হাত রেখে করবে আলাপ
কোদালকে কোদাল বলবে চাঁদ কে বলবে চাদঁ ।
প্রেমের কথা ইঙ্গিতে বললেও বুঝবে পোষা পাখী ;
মৈথুনের কথায় লজ্জায় রাঙা হবে শব্দের কালো আখিঁ ।
একান্ত ব্যক্তিগত আলাপন শব্দকে ঘোমটায় টেনে
আকারে ইঙ্গিতে চোখ ও আঙুল দাও কবিতার বুকে ।
কথা বলবে না; বৈদ্যুতিক তরঙ্গ আসবে
শব্দের এন্টেনা থেকে ।
তোমার মাথার রেডিও সেট যদি ধরতে না পারে
সে তোমারই ব্যার্থতা ।
কবি তরঙ্গ পাঠিয়ে খালাস ;এখন তুমিই কষবে অংক ।
কবিতার বোরখার আড়ালে আছে সাদামাটা কঙ্কাল
তাকে আড়ালে রাখতেই চাই কারী কুরী সংকেত ।
আধুনিক কবিতা যদি বুঝতে চাও ,তরঙ্গ দৈর্ঘ মাপো
নিজের এন্টেনা কার্য্যকরী কর, বিশেষ প্রচেষ্টায় ।
তা ও যদি ধরতে না পারো কেন কর হাঙ্গামা ;
প্রশংসা ভরিয়ে দাও ,দুহাত ভরে দাও শুভেচ্ছা ;
বুকে টেনে নাও তোমার ও কবির সমস্ত ব্যর্থতা ।
আজব মন্ত্রপাঠ
Thursday, May 17, 2018, 4:15 PM
আজব মন্ত্রপাঠ
বৈদিক মন্ত্রপাঠে সব শুভ কাজ
আর কেন হবে আজ ?
পূজাপাঠ বিবাহ,শ্রাদ্ধ আদি সমস্ত রীতি
সিদ্ধ হয় সংস্কৃত শ্লোকে
ব্রহ্মা,ইন্দ্র ,বৃহষ্পতির এটাই রাজনীতি ৷
হাজার বছরের পুরানো সংহিতার সেই বানী
প্রস্তর যুগের শ্যাওলা ধরা হরপ্পার ভাষা
অন্ধের মতো আওড়ে যাই এ আমাদের গ্লানি ।
মৃত ভাষা নিয়ে কেউ চায়না ব্যখ্যা, মানে ৷
ঠিকাদারেরা ধর্ম বেঁচে জ্ঞানে ও অজ্ঞানে ৷
ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার কিংবা উকিল
তারাও মন্ত্র পাঠে পার হয় ধর্মের গোঁজ ৷
বিদ্রোহ করেনা কেউ; সত্যের করে না কেউ খোজঁ ৷
সংস্কারের টীকি বাধাঁ এখনো জরথ্রুষ্টে ৷
আজগুবী রীতি আর দুর্বোধ্য মন্ত্রপাঠে
আচারের নামে অনাচার মিথ্যে আশায়
আর নয়
সভ্যতাকে দাড়াঁতে হবে তার নিজের ভাষায় ৷
ত্যাগ কর হরপ্পার শিলিলিপি
সমাজকে দাও এক ধারালো কুঠার
চেতনার ব্রহ্মমূলে মারো ঘা
জাগ্রত হোক এক নতুন প্রভাত ৷
------------------------
ধর্মের নামে
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
ধর্মের নামে
রবিবার প্রার্থনার ঘন্টা বাজে সমস্ত গীর্জায়
যীশুর বানীতে শুদ্ধ হয়ে যায় গোটা পৃথিবীটা ৷
শুক্রবার নামাজ হয় পৃথিবীর সমস্ত কোনায়
চেতনা জাগ্রত হয় সমাজবদ্ধ হয় হাজার মানুষ
বাচাঁর প্রেরণা পায়,সমবেত প্রার্থনায় নূতন জীবন ৷
পুরাতত্ত্বের যাদুঘরে পুত্তলিকা খড়ে ও কাদায়
বাৎসরীক সামিয়ানা মস্ত আয়োজন
সৃষ্টি কৃষ্টি বিনষ্ঠ হয় মন্ত্র পাঠ গঙ্গা বিসর্জণে ।
ধর্মগুরু বাবারাই সেজেছেন ঈশ্বর ।
তীর্থে ভীড় কুষ্ঠ রোগী ভিখারী পঙ্গুদের সঙ্গে ডুমো মাছি
সেখানে পর্যটনে আয়েশ করে হাজার মানুষ
কোন মন্ত্র বল কোন যাদুকাঠি নড়ে রাতের আধাঁরে ?
চাওয়া পাওয়া আত্মার মুক্তির জন্য যুগ যুগ ধরে ৷
সংসার সমুদ্রে পরিত্রাণ চাই তীর্থে ঘুরে ঘুরে ।
সংস্কৃত মমী নিয়ে ঠিকাদার জ্বেলে রাখে ধর্মের আলো৷
দান পাত্র,পূজা ,আরতী , বিগ্রহে জীবন দান ৷
খন্ডিত দেহ ঘিরে পর্যটন তীর্থক্ষেত্র অতি জাগ্রত ৷
শিকারীর অমেয় ফাঁদে মানুষ পড়বে ধরা তা ও সম্মত ।
কোন শিক্ষা নেই কোন বার্তা নেই, শুধু প্রহসণ
ধর্মের নামে ব্যাবসাই চলে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ ৷
--------------------
আমাদের শিক্ষক
Friday, May 18, 2018, 4:14 AM
আমাদের শিক্ষক
আমাদের মাষ্টারমশাই সংস্কৃত পড়াতেন
মাথায় টিকী মুখে হরিতকী ক্লাশে দিব্যি ঘুমোতেন ৷
এক শিক্ষক ক্লাশে ইংরাজী পড়াতেন শুদ্ধ উচ্চারণ
নীল ডুমো মাছিরা তার মুখে
মদের গন্ধে নাচত সারাক্ষণ ৷
বাংলার শিক্ষক অনুচ্চ স্বরে কিছু কবিতা শোনাতেন
অংকের স্যার প্রেশারের রোগী
ছিলেন ভীষণ রাগী
হেড স্যার পড়াতেন কম
অন্য ব্যপারে মনোযোগী ৷
কৈফিয়ত নেবার ছিল না কারো আগ্রহ
দায়বদ্ধতা মাসিক বেতন নিয়ে
ছিল জড়সড় ।
আমরা শিখিনি কোন নীতি জ্ঞান, কোন ধর্ম, কোন মন্ত্র
শিখেছি শুধু প্রতিবাদ ,বন্ধ-হরতাল, রাজনীতি ৷
আমাদের জীবন এমনি ভাবেই গড়ে ওঠে একদিন ৷
তাস ,আড্ডা,তেলেভাজা নিয়ে ছোট খাটো ব্যাবসাতে
তোলাবাজী রঙবাজী মানুষ চমকাতে ;
ফুটবল,কেকেআর ,মেলা আর মানুষের উচ্ছাসে
ভোট,হিংসা,আগুন,নিয়ে দিন কাটে অনায়াসে ,
মা-মাটি মানুষ আমাদেরই আছে পাশে ।
--------------------------------
চাবুকের জন্য
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
চাবুকের জন্য
চাবুকের শব্দে কাঁদি আমি সেই প্রিয়া
শরীরের ক্ষত নিয়ে যেতাম তিস্তায়
চাঁদনী রাত কাটে আয়েশে রঙীন
খুশীর তুফান ওঠে ভেসে যায় দিন ৷
তারপরে একদিন বারান্দায় ফেলে
সোহাগী রাতের চাঁদ সেও চলে যায় ৷
অতঃপর ফিরে আসি চাবুকের কাছে
সে এখন সন্ন্যাস নিয়ে পূজা পাঠে আছে ৷
আমাকে দেখেও যেন না চেনার ভান
দেবীর আসনে আমায় বসাতেই চান ৷
আমার শরীর ঘিরে বিদ্যুতের ঢেউ
রাতে আসে না ঘুম সঙ্গে নেই কেউ ৷
কুয়ো পাড়ে ঠান্ডা জলে স্নান করি রাতে
সারারাত জেগে থাকি ঘুমাই প্রভাতে ৷
ঘরের মন্দিরে আমার হয়েছে বিসর্জণ
চাবুকের জন্য কাদেঁ প্রাণ সারাক্ষন ৷
বিদ্র: "তবু দীপ জ্বলে না " (কবি সুমিত্র দত্ত রায়) বিতর্ক উপলক্ষে রচিত ৷
----------------------------
বঙ্গদেশের রঙ্গ ৷
Thursday, May 17, 2018, 4:06 PM
বঙ্গদেশের রঙ্গ ৷
মুহূ্রতে্ ধূলিস্যাৎ গগনচুম্বি মা্রকি্ন দুই বহুতল
আমেরিকা হতভম্ব পৃথিবীর শতকোটী মানব বিহ্বল ৷
ধূর্তনীতি নিয়ে প্রাগ্যময় বামেরা ভীষণ অস্থীর
কাশ্মীর পাকিস্থান আইসিস হিংসার কদর্য শরীর ৷
নক্ষত্রেরা মরে গেলে অসীম অন্ধকার অতল গহ্বর
ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি নিষে পন্ডিতের বিতর্ক জীবন নশ্বর ।
বুদ্ধ যীশু মহাম্মদ এদের দেখানো পথে এখনো পৃথিবী
কিছু উগ্র বিধর্মির রক্তে বাজে ঘৃণা আর অন্ধ প্রতিশোধ৷
কলকাতা মায়াময় ওসামাকে ভালোবাসে প্রাণের গভীরে
বজ্রমুষ্ঠী শূন্যে তুলে ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল মিটিং এ ।
আমেরিকা নিপাত যাক ,ভীষণ গর্জণ তোলে শূন্যকূম্ভ বাম
ক্ষমতার অলিন্দে কূম্ভীরাশ্রু পাত করে নেতৃ অবিরাম ।
বুদ্ধিজীবি হতবাক কার্য্য কারণ সম্পর্কে থাকে মশগুল
লজ্জা আর নাসরিণ মুখ ঢাকে পৃথিবীর গুপ্ত কোনায় ।
ত্রিশূল নাচিয়ে বঙ্গ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে ক্ষমতার মাপ
রাজনীতি মৌলবাদ ভোটের আসর নিয়ে বকছে প্রলাপ ৷
বিদ্র : ২০০১ সালে লেখা পরিমার্জণ ২৬/৪/২০১৮
মাতৃভাষার টান
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
মাতৃভাষার টান
হায়দ্রাবাদ থেকে দুশো মাইল দূরে
কর্ণাটকের এক পুরণো শহরে তখন প্রথম আস্তানা ৷
একা থাকি বিয়ের মাত্র সাত মাস পরেই ৷
চতুর্দিকে ফনী মনষার মতো দুর্বোধ্য কানাড়ী ভাষা
পরিত্রাণ নেই দিনরাত্রি দমবন্ধ অবস্হা ৷
হোটেলে নিরামিশ প্লেট মীল টকঝাল মন্দ নয়
কখনও বারে গিয়ে বিরিয়ানী বিয়ারের মৌতাত ৷
অচেনা দেশ অচেনা মানুষ ,একটা কাক পক্ষী
কিংবা সারমেয় কারোই গরজ নেই আমাকে চেনার ৷
মালভূমি শহরের প্রান্তে দাড়াঁলে অনেক অনেক নীচে
সবুজ শস্যক্ষেত ,গ্রাম, রাস্তা আঁকা বাকা ঠিক ছবির মতন ৷
বাংলা ভাষায় কথা বলিনি কতদিন ,তখন ছিল না মুঠোফোন
মনে হয় যুগ যুগান্ত ধরে বসে আছি অন্য এক গ্রহে ৷
সন্ধ্যার পর অফিস শেষে ঘুরে বেড়াই দোকান পাট বাজার
যদি দেখা পাই শাখাঁ সিদূর সহ কোন পরিবার
তাহলে বুঝতে পারি অন্য গ্রহ নয়, আছি বাংলারই কাছাকাছি ৷
কিন্তু সংকোচে মরে যাই কি ভাববে ওরা; অজানা এক ভয়
ভাবতে পারে নতুন উৎপাত ,ভদ্রবেশী ভন্ড প্রতারক ৷
দিনের পর দিন যায় ভদ্রতার রেশমী জাল ছিড়ে
আর হয় না বাংলায় ঢোকা ৷অন্য গ্রহেই থেকে যাই ৷
মাতৃভাষার জন্য দেশের লোকের জন্য এই যে হাহাকার
এটাই নাড়ীর টান বুঝতে পারলাম আজ অন্যগ্রহে এসে ৷---
-----------------------------
প্রতারণা
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
প্রতারণা
খবরের কাগজে প্রতিদিন বিজ্ঞপনের বাহার
আপনার ভাগ্যের চাকা ঘোরাবে জ্যোতিষী ও তান্ত্রীক
বিদ্যা ,বিবাহ ,বাস্তু ,ব্যাবসা যে কোন সমস্যায়
পঞ্চমূন্ডী যজ্ঞ তন্ত্র মুক্তি দেবে সব গ্রহ দোষ
সমাধানে সিদ্ধহস্ত ।পাবে ঈশ্বরের সন্তোষ ।
চেম্বার খুলেছে অনেক শহরে রমরমা কারবার
সেরা ডাক্তার ও লজ্জা পাবে অর্থ ও যশ দেখে ৷
মানুষ এত অসহায় অজ্ঞ . ধাপ্পাবাজীতে ভোলে
এদের কথার মারপ্যাচ চোখের ইঙ্গিত সব গোলমেলে ৷
ধর্মের ব্যাবসায়ী এরা সব পাপ করে অনায়াসে
চ্যালেঞ্জ দিয়ে প্রতিকার করে তাবীজ কবচ ও পাথরে ৷
দুহাতে লুটে নেয় সর্বস্ব যেখানে সুযোগ পায়
বাত ,সুগার, ক্যান্সার সব ভালো করে দেয়
মিথ্যে প্রবঞ্চনায় ৷
রাশিফল, ঠিকুজী-কুষ্ঠী ,ভাগ্য গননা সব ছলনা ,
দুর্বল অসহায় মানুষের সঙ্গে এক নিষ্ঠুর প্রতারণা ৷
-------------------
নকশালবাড়ী
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
নকশালবাড়ী
রোজ বিকেলে গান্ধীঘাট বা দক্ষিনেশ্বর
বেকার তরুণ ,যুবক সঙ্গে দূরন্ত কৈশোর;
বাবরি মাথার চুল রুক্ষ কটা ফোলানো
বেল বটম প্যান্ট, জুলফি লম্বা ঝোলানো ৷
মাও সে তুঙ জিন্দাবাদ চীন পথ দেখায়
সমাজকে পাল্টাতে হবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় ৷
গানের জলসা রোজ এখানে ওখানে
বিপ্লবের হাতে খড়ি বোমা আর বারুদের ঘ্রাণে
এ পাড়ার ছেলেরা পেটায় ও পাড়ার ছেলে
বোমা ও পাইপগানে রাস্তা ঘাট ছেয়ে ফেলে ;
রাজনীতির স্বার্থে বাঁধে তুমুল লড়াই
পুলিশভ্যান আসলেই অন্ধকারে অদৃশ্য সবাই ৷
রাত্রী গভীরে ফের বিপ্লবীর দল জড়ো হয়
পরিকল্পনায় পাকা হয় কার মুন্ডু কাটা হবে
কোন শিক্ষককে বাছা হবে কিংবা রেহাই
কোন পুলিশকে দেওয়া হবে উত্তম ধোলাই ৷
প্রশাসন কেঁপে ওঠে রাজ্যবাসী মরে ত্রাসে
সিদ্ধার্থ নিরুপায় কঠিন নির্দেশ আসে ।
বরানগর কাশীপুরে রক্ত গঙ্গা বয়ে যায়
উজ্জল নক্ষত্রেরা ঝরে যায় কলকাতার রাস্তায় ৷
গঙ্গায় ভেসে ভেসে নক্ষত্রের লাশগুলো
বলে যায় মুক্তির পথই একমাত্র স্বপ্ন ছিল ৷
হাতে নীল ধোঁয়া
Friday, May 18, 2018, 9:30 AM
হাতে নীল ধোঁয়া
মিনিবাসের ড্রাইভার পয়ত্রিশের যুবক
বাহাতে স্টিয়ারিংয়ের মস্ত বড় চাকা
অনায়াসে গাড়ী ডানদিক বামদিক করে
কলকাতার কাধঁ নেড়ে কলকাতার বুক চিড়ে
উন্মত্ত ষাঁড়ের মতো চলেছে ধীরে ধীরে ৷
বুকের ছাতি বত্রিশ ইঞ্চি হাতে নীল ধোঁয়া
ফুসফুস ঝাঝঁরা করে হাসছে অহংকার
পখযাত্রী সন্ত্রস্ত ভীত বাস রাস্তার
সার্জেন্টের লাল বাইক নিয়ম রক্ষায়
চালান বানিয়ে ফাইন কখনও বা এসে যায় ৷
ট্রাম লাইনে সূচিবিদ্ধ রাস্তা এফোঁড় ওঁফোড়
মস্ত অজগর ট্রাম দাড়িয়ে ঘন্টার উপর
বাস দাড়িঁয়ে হাঁপায় ছুড়তে থাকে বিষাক্ত ধোঁয়া
যাত্রীরা হাপাঁয় গ্যাস চেম্বারে মৃত্যু প্রতিক্ষায় ৷
ড্রাইভারের হাতে জ্বলছে বাঙ্গালী অহংকার
গলা ,ফুসফুসে, স্তনে ক্যানসারের চীৎকার ;
কারো পরিত্রাণ নেই অবস্হা বড়ই সঙ্গীন
কলকাতা তোমার পরমায়ু আর কত দিন ?
------------------
রচনা ২০০২ সালে ,সম্পাদনা/ পরিমার্জন ১৪৷৪৷২০১৮
বাচঁবার পথ চাই
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
বাচঁবার পথ চাই
এখানে স্বপ্ন অঙ্কুরে আজ মাঠে মাঠে মারা যায়
ললিত কুসুম ফোটে না কোথাও এই বাংলায় আর ৷
এখানে স্বার্থ হানাহানি আর রাজনীতি নিয়ে খেলা
প্রকাশ্য পথে খুন হয়ে যায় প্রত্যহ দুই বেলা ৷
বসন্ত আর রঙীন পাখায় জানায় না আগমন
চুপিচুপি এসে নীরবেই থাকে ভয় তার জনগন ৷
এখানে সত্য বিবেক বুদ্ধি দয়ামায়া কিছু নাই
ধর্মে বিভেদ দুর্নীতি রাজ সব কাজে 'তোলা' চাই ৷
যদি ভেবে থাক আমি বেশ আছি ওসব এড়িয়ে চলি
ঝামেলাতে নেই কাজ নিয়ে থাকি তবে কানে কানে বলি ৷
রেহাই পাবে না ঘরে বসে থেকে ; গুন্ডা পাঠাবে বাড়ী
ধরে নিয়ে শেষে রটাবে , তুমিই দুষ্ট অত্যাচারী ৷
আদালতে গেলে বিচার পাবেনা তোমার জীবন কালে
ন্যায় অন্যায় সব ঠিক হয় টাকার অকল্যানে ৷
আজব দুনিয়া বাংলার মাটি,তবু তার গুন গাই
ধ্বংসের গান আর নয় আজ বাঁচবার পথ চাই ৷
দিল্লী বহুদূর
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
দিল্লী বহুদূর
মূর্খেরা সুখে থাকে তাদের অল্পতেই সুখ
বামন হয়ে চাঁদ ধরার নেই সে অসুখ ৷
ভাগ্য কখনও হয় অপ্রত্যাশিত ভালো
নির্বোধও শাসন কর্তা জগৎ করে আলো ৷
গোখাদ্যে পুষ্টি নিয়ে বিহারে ভরপাই
দিল্লীতে রেল মন্ত্রী বছর দশেক
সম্পত্তির হিসেব নেই এতই কামাই ৷
দিদিমনির বৃহষ্পতি তূঙ্গে যাতেই হাত দেন
শুধুই সোনা ফলে , পান বিশ্ব প্রেম ৷
সাদা শাড়ী গ্যালাক্সী নীল চটী পায়
অতীতের কথা ভুলে কংগ্রেস ঝাঁপায় ৷
বড় বড় ব্যারিষ্টার ,চাণক্য চতুর
দিদিমনি স্বপ্ন দেখে ;
কিন্তু ,দিল্লী বহুদূর ৷
তুমিই স্রষ্টা
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
তুমিই স্রষ্টা
নারী জীবন নিয়েছো যখন
মাতৃত্বের কষ্ট ও সুখ ,
কিছু লজ্জা কিছু গ্লানি
সহ্য করে নাও ৷
ঝিনুকের মধ্যে রাখা মনিমুক্তো
নারীত্বের নির্যাস ;
শরীরের মধ্যে শরীর
বাড়তে থাকে নতুন অতিথি ৷
তোমার সৌন্দর্য আর ও মধুময় হয়ে ওঠে
ফুটে ওঠে ঈশ্বরের দান ৷
চারিদিকে নেকড়ে আর হাঙড়ের কুচক্রী দঙ্গল
ছুরি কাচিঁ অসহ্য যন্ত্রণা আর ডাক্তারের হাত
গোপন আতুর ঘরে সম্পর্কের গভীর মোচড় ৷
ঝিনুকের মধ্যে মুক্তো সে তোমারি সৃষ্টি
তুমিই ঈশ্বর ,তুমিই স্রষ্টা তুমি ই প্রকৃতি ৷
যু্দ্ধক্ষেত্র
Thursday, May 17, 2018, 3:03 PM
যু্দ্ধক্ষেত্র
রণক্ষেত্রে কৃপা নয় অব্যর্থ লক্ষ্য চাই, হিংসার আগুন
অধর্ম তা যুদ্ধে নেই শাস্ত্র্রের ব্যখ্যা তুমি যতই শানাও ৷
যুদ্ধে রথের চাকা বসে গেলে
অসহায় কর্ণ কৃপা ভিক্ষ চায় ,
শাস্ত্রের অব্যয় বাক্য ,
বিপন্নকে শত্রু হোক .মারা অনুচিত ৷
কর্ণের চক্রব্যূহে ,সপ্তরথী ,সবে মিলে অভিমন্যু মারে ৷
বালক যোদ্ধাকে ওরা অসহায় একা পেয়ে মেরেছে নির্মম
'তখন কর্ণের এই ধর্ম বোধ কোথা ছিল ' কৃষ্ণের উক্তিতে
অর্জুণের আঞ্চলিক অব্যর্থ্য লক্ষে গিয়ে কর্ণ মাথা কাটে ৷
কৃষ্ণ জানে যুদ্ধ এটা ,শত্রুদের মারা চাই যে ভাবেই হোক
যুক্তি সেটা হোক নির্দয় সম্পূর্ণ বা হোক ভুল তবুও সঠিক ৷
অধর্মের প্রতিশোধ অধর্মেই হবে যুক্তি এটা নয়
তবুও সার্থক কৃষ্ণ ,অর্জুনের,বাণ ছোটে ত্বরিত গতিতে ৷
একদিন সব দিয়েছো
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
একদিন সব দিয়েছো
একদিন না চাইতেই দিয়েছো সমস্ত আকাশ
সঙ্গে গ্রহ, তারা ,নক্ষত্রের ভীড় ;
ভাল করে উড়তে শিখিনি তখনো ৷
মহাসাগরের অসীম জলধী রাশি
একদিন দিয়েছিলে ভালবেসে সব ;
কিন্তু আমি তখনও সাতাঁর শিখছি সবে ৷
একদিন এই পৃথিবীটা সমস্তই
দিয়েছিলে অবহেলে ,
আমি নিতে পারিনি তার সব দায় ভার ৷
এক দিন তুমি সমস্ত সাম্রাজ্যভার
আমাকেই দিয়েছিলে হয়ে নতজানু ;
তোমার অসীম বিস্তার আমি বুঝতেই পারিনি
অতল গভীরে ডুবে মুক্তো খুজিনি ৷
একদিন না চাইতেই সব দিয়েছো
আজ কিছুই নেই আমার ৷
জনগণের রায়
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
জনগণের রায়
জনগন হেরে যায় বোকা বনে চিরকাল
নকল ঘুঁটিতে খেলা শকুনীর পাশাতে
হার তো হবেই ৷
রোজভ্যালী,সারদার গুপ্ত সুরঙ্গ দিয়ে
লক্ষ কোটী টাকা যায় গভীর পকেটে ৷
তারা হোটেল রিসর্ট কেনে সিঙ্গাপুর কিংবা দুবাই ;
সিনেমায় টাকা ঢালে,রাজনীতির চড়াই- উৎড়াই
পার হয় হেলিকপ্টার চড়ে ৷
মিছিল মিটিং করে অবশেষে
পার হয় নবান্নের সিঁড়ি ৷
দিল্লীর সিবিআই ,উচ্চ আদালত
ব্যর্থ হয় হাজার নিয়মের বেড়াজালে ৷
রাজ্যের পুলিশ, আইন ছত্রছায়ায়
যতদিন পারা যায় ক্ষমতায় থাকো ৷
তারপর একদিন ;
বিপ্লবের জলপ্রপাত ,পতনের শব্দ শোনা যায় ৷
জনগণ দিয়েছে রায়
তোমাদের সবার ফাঁসির ৷
আমরা বাঙ্গালী
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
আমরা বাঙ্গালী ।
হায়দ্রাবাদের ঝা চকচকে দোকান, বাজার, রা্স্তাঘাট
কলকাতা মৃতপ্রায় ছাতা ধরা বিবর্ণ মঞ্জিল ৷
দিল্লী,মুম্বাই বা চেন্নাই হাইটেক যাদু নগরী
দুঃখিনী কলকাতা বিদ্রোহে কল্লোলিনী, তিলোত্তমা নয় ৷
দূর্গা ও শ্যামা পূজোর সাংস্কৃতীর শ্রাদ্ধ প্রত্যেক বছর
বন্ধ নিশ্চই হবে রামমোহন আসবে ফিরে এই কলিযুগে৷
বঙ্গবাসী ঘেরাটোপে থাকে দূরদৃষ্টীর হয়েছে আকাল
কমপিউটারে বিদ্রোহ , আর মাস্তানী করে
এখন গিয়েছে রসাতল ৷
কৃষি বিপ্লবে ,শ্রমিক দরদে ফাঁকা বুলী সম্বল
ভারতবর্ষের কোনায় কোনায় বাংঙ্গালীর দুর্নাম
বিহারী উড়িয়া তামিল তেলেগু সামনে এগোয় যতো
আমরা বাঙ্গালী দলবাজী করি দাম্ভীক উদ্ধত ৷
বাইরে রেখোনা পা
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
হিংসার রাজনীতি
এসো আমরা ব্রিজ খেলি জানলার পর্দা দাও টেনে
নিশ্চিন্তে ঘরের কোনে বন্ধুদের সঙ্গে হোক
ঠান্ডা শ্যাম্পেন ৷
রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজুক আমাদের অতিপ্রিয়
শ্রাবণী সেনের
কলকাতা উতরোল বাইরে রেখোনা পা
ঘরে এসে বসো ৷
হিংসার রাজনীতি ক্ষমতার উল্লাসে কাঁপে চারিদিক ৷
অস্হির হাওয়া পোড়ে, মাংসের গন্ধে বারুদের ঘ্রাণ
তাড়াতাড়ি ঠিক করো কোন বাজী ধরা হবে আজকে খেলায় ৷
লেনিনের মন্ত্রশিষ্য ,মমতার উন্নয়ন ,
কথার ফানুষ ৷
ময়দানে জমায়েত,
অস্ত্র হাতে বিক্ষুদ্ধ লক্ষ মানুষ ৷
আন্দোলন,ধর্মঘট সব কিছু পরে থাক
এসো আমরা বন্ধ হই ঘরের কোনায় ,
মুরগীর কোপ্তায় শ্যাম্পনের হুল্লোড়ে ঘর ভেসে যাক ৷
সর্বহারার স্বপ্ন
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
সর্বহারার স্বপ্ন
চৌত্রিশ বছর ত কম নয়
ক্ষমতার দুর্গে থেকে শুধুই শোষণ ৷
সর্বহারা দিয়েছিল রক্ত প্রতিদান
'গনতন্ত্র জিন্দাবাদ' শুধুই স্লোগান ৷
রাজকাজ সোজা নয় ;
কথার মারপ্যাচে আর ফুলিয়ে ফানুষ
স্বপ্ন দেখানো যায় ,
মিছিলে হাটানো যায় গরীব মানুষ ৷
কারখানা,আদালত,শহর,বাজার,
বিদ্যালয় বন্ধ,প্রতিদিন ;
রাস্তায় ক্রিকেট ,তাস,
সুনশান রাজপথ ;বড়ই দুর্দিন ৷
অলস বাঙ্গালী তার যৌবন
শেষ করে তাস পাশা খেলে
যুক্তিতে ক্ষুরধার ,বেকারীর যন্ত্রনা অক্লেশে ভোলে ৷
দিল্লী,মুম্বাই,ব্যাঙ্গালোর,
চেন্নাই সবাই এগিয়ে যায়
কটক,ভূপাল,পুনে,পাটনাও
ডাক পায় জগৎ সভায় ৷
বাংলা পিছিয়ে থাকে
মার্কস আর লেলিনের অন্ধ মায়ায় ৷
স্বপ্ন জেগে থাকে তবু
সর্বহারার বুকে
কাস্তে হাতুরী তাঁরায় ৷
উদ্বাস্তু শিবির
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
উদ্বাস্তু শিবির
দুর্যোগের ঘনঘটা দুঃখের তমসা নিয়ে
আসে আশ্বিন ৷
বিহার বাংলার নদী একাকার হয়ে যায়
স্হবির দিন ৷
বন্যার ঘোলা জলে মৃত চোখে চেয়ে আছে
সূর্যে্র আলো ৷
চারিদিকে হাহাকার কান্নার কলরোল
হয়েছে জোরালো ৷
শহরে আলোর বন্যা লক্ষ লক্ষ নরনারী
পূজোর প্যান্ডেলে ৷
বুভুক্ষু মানুষের ভীড় শহরের রাস্তায়
নিঠুর জঙ্গলে ৷
বন্যার্ত ,ক্ষুধায় ক্লিষ্ট মানুষের হাহাকার
মৃত্যুর গান ৷
শরতের এ উৎসবে পূজোর আনন্দে মাতে
কাদের সন্তান ?
বাংঙ্গালীর উৎসবে শহর নগরী আর
যায় না ত চেনা ৷
পূজোর মণ্ডপে আজ উদ্বাস্তু শিবিরের
হয়েছে সূচনা ৷
-----------------------
১৯৭১ সালে লেখা , পরিমার্জনা ১0/৪/২০১৮
তবেই হবে সার্থক
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
তবেই হবে সার্থক
তুমি যখন কথা বলবে অবশ্যই হাত নাড়বে
বিভিন্ মুদ্রায় ৷
শব্দের সঙ্গে সঙ্গে হাতের আঙ্গুল নেচে যাবে
সমুজ্জল হবে তুমি পান্ডিত্যে ও প্রজ্ঞায় ৷
যখন কথা বলবে হবে না শঙ্কিত ৷
সতমিথ্যা যা ই হোক জানা বা অজানা
প্র্রতি শব্দ স্পষ্ট হবে মন্ত্র উচ্চারণে
যেন গীতা বা কোরাণ থেকে হয়েছে উদ্ধৃত ৷
যখন কথা বলবে জানবে তুমি ই ঈশ্বর
অথবা ঈশ্বরের প্রিয় শিষ্য তার বানী নিয়ে
জগতে এসেছো করতে ধর্ম প্রচার
তোমার অমূল্য বানী খ্র্রীস্ট সমাচার ৷
তুমি ছাড়া সব বৃথা ,তোমার জন্য সব কিছু ৷
সবই তোমার মায়া এবং লীলা ৷
অন্যসব পারিষদ এবং উপসর্গ মাত্র ৷
তবেই সার্থক তুমি, মানবে সবাই তোমায় ৷
ধর্ম ,ব্যাবসা,সাহিত্য, বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠার সব্বোচ্চ চূড়ায়
অবশ্যই পৌছে যাবে সবাইকে নীচে ফেলে পায়ের তলায় ৷
বিদ্র : ২০০২ সালে রচিত এখন পরিমার্জন করা হলো
অশ্লীল আড়ম্বর ৷
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
অশ্লীল আড়ম্বর ৷
ধর্ম শিক্ষার মন্দির নেই, নেই বিদ্যালয়
সারম্বরে কালীপূজো ,দূর্গা মহোৎসব
রক্তচক্ষুর শাষাণীতে লক্ষ টাকা চাঁদা
ফূর্ত্তি আর ধান্ধাবাজীর সেরা চড়ুইভাতী
লক্ষ টাকা বিসর্জণ গঙ্গা জলে মাটী ৷
উদ্ধোধনে মন্ত্রীরা ভীষণ রকম ব্যস্ত
কার পূজোটা সেরা হবে সবাই সন্ত্রস্ত
কখনও শারুখ খান কখনও শ্রীদেবী
উড়ে এসে বম্বে থেকে পূজো করে খাঁটি ৷
আজ আর রামকৃষ্ণ নেই কিংবা নরেণ
পথভ্রষষ্ট্র মাতালদের কে সামলাবেন ৷
মহাজনদের সব শিক্ষা উপদেশ
বন্দী হয়ে আছে সব বইয়ের পাতায়
রামায়ন,শ্রীমৎগীতা ফুটপথে বিকোয়
কাম এবং ধর্ম শাস্ত্র একান্তে গড়ায়৷
মন্দিরে কি শেখায় ওরা পাইনি জবাব
মাদ্রাসার অন্ধকারে কোরাণ শরীফ
মানব সেবার থেকে ধর্ম বড় নয়
গুরদোওড়া হয়ে ওঠে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ ৷
ধান্ধাবাজীর চড়ুইভাতী বন্ধ হবে কী
কোরাণ বাইবেল পাঠে লক্ষ কোটি প্রাণ ৷
রাস্তায় প্যান্ডাল বেধেঁ বার্ষি্ক বারোয়ারী
অশ্লীল নষ্ট যজ্ঞে রয়েছে অম্লান ৷
----------------
ভূগোলের পাতায় ভ্রমন
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
ভূগোলের পাতায় ভ্রমন
ধবল গিরির তূষার দেখিনি ,দেখিনি তো বার্চ হিল
উড়িনি কখনও আকাশের বুকে যেখানে উড়িছে চিল ৷
সাগরের লোণা নীল জলে নেমে দেখিনি কেমন লাগে
মরুভূমি হেটে পার হয়ে যাই মনে কি বাসনা জাগে ৷
দিল্লী ,আগ্রা, অজন্তা গুহা অনেক অনেক দূর
জানিনা কোথায় আছে সিংহল, জাভা ,বালী ,মনিপুর ৷
চেরাপুঞ্জীর মেঘ ও দেখিনি শিলং শহরে গিয়ে
হাজারদুয়ারী ঢুকিনি কখনও একটা দরজা দিয়ে ৷
আমেরিকা কই আফ্রিকা কই কানাডা কোথায় আছে
ম্যাপ খুলে বসি ইতালীর রোম চোখের পাতায় নাচে ৷
কোথায় জাপান কোথায় ফ্রান্স কোথায় ইন্দোচীন
দেশ সে কোথায় আব্রাহমের কোথায় উইন্সকীন ৷
চার দেওয়ালের মাঝে বসে বসে দিন শুধু কেটে যায়
ভূগোলের পাতা খোলা পড়ে রয় মন বসে নাকো হায় ৷
----------------------------------
বি দ্র :১৯৭০ সালে লেখা যখন লেখালেখি সুরু করেছিলাম ৷
পরিতৃপ্তি
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
তোমার বুকে ইন্দ্রপুরী ,সেতারে বেহাগ বাজে
আকন্ঠ পিপাসা ,নিবিড় করে একটা চুমুক
রোজ ভাবি, আর দেখি ৷
কফির পেলায়া নিয়ে ডুবে যাই
স্বর্গীয় সুর থেকে বহুদূর ৷
রাতে ঘুমের মধ্যে ডাকিনি তবু
তোমার মুখোশ পড়ে কেউ এলো ,
সুখের পেখম মেলে ডানা ঝটফট
যৌবনের ঋণ মেটে পরিতৃপ্তি হয়
কবুতরের বুকের ছোঁয়ায়
তোমার চুলের গন্ধ এলোমেলো ৷
সকালে জানলায় রোদ শালিকের ডাকাডাকি
তানপুরা নিয়ে আজ রবিবার ,তুমি বসেছো কী ?
তিলোত্তমা কলকাতা
Thursday, May 17, 2018, 9:38 PM
তিলোত্তমা কলকাতা
আরো কিছু শুভ্র রজনীগন্ধা
আমাদের আশেপাশে হেঁটে চলে যায় ;
যাদের দেখলে মন প্রফুল্ল হয়
অথবা গভীর দুঃখ ৷
রাস্তায় বাজারে শহরে
সর্বত্র কুৎসিৎ দলাদলি ৷
হারগিলে দালাল আর জল্লাদের
অশুভ আঁতাত
রং চটা তোবরানো সরকারী বাস
ভাঙ্গা রাস্তা ,দুপাশে নর্দমার বমি ;
শহরের বাড়ী গুলো শ্যাওলা ধরা জীর্ণ
বয়সের ভারে ন্যূব্জ;
গাড়ী ,বাড়ী ,রাস্তা, মেয়ে এবং মানুষ
চলো সবার মুখে একটু রং মাখাই ৷
স্কুলে,বাড়ীতে, শিশু,অবলা একলা নারী
পশুদের হাতে নিগ্রহ হয় রোজ,
কলংক লেগে থাকে টিভির পর্দায় ৷
আকাশে ঝুলে থাকে পেট্রোল ও ডিজেলের ধোঁয়া
মানুষের অকর্ণমন্যতা ,দৈন্য ও লোভ ৷
এসো কিছু বিশুদ্ধ বাতাস ও সুন্দর রজনীগন্ধা
আকাশের বুকে যাই রেখে ৷
কোলকাতা তিলোত্তমা হবে ঊর্বষীরা কই ৷
বিদ্র: ৫ বছর দিল্লী কাটিয়ে কলকাতা ফেরার পর প্রতিক্রিয়া ৷
--------------------
আকাশের ডিউটি
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
আকাশের ডিউটি
তখন বোয়িং ৭০৭ ছিল , ভিতরে অজন্তা ইলোরা
এবং জলসাঘরের মেলা ;
রবিশংকরের সেতারের স্বর্গীয় সুর
কী রাগে বাজছে ?রাত মোটে ন' টা ৷
হংকং, ব্যাংকক হয়ে কলকাতা মুম্বাই
বিমানবালার ওষ্ঠে হাসি লেগে আছে ,
সুগন্ধী রূমাল,টফি,খাবারের ট্রে ৷
টারম্যাকের নীল মায়াবী আলো নীচে থাকে
চিতাবাঘ লজ্জা পায় বুলেটের গতি
অবশেষে চাকাগুলো ঢুকে যায় ,ডানা দেয় মেলে ৷
মেঘের রাজ্য পাট নীচে ফেলে
ছুটে চলে তারাদের দেশে ৷
দুঘন্টা স্বপ্নের পাড়ি খানাপিনা কগন্যাক ৷
ছত্রিশ হাজার ফুট নীচে
পৃথিবীটা ঘুরছে ;
যাত্রী নাবিক আর বিমানসেবিকা
শুল্ক মুক্ত কেনাবেচা চলছে অবাধ ;
অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দু ঘন্টা বিলাসী জীবন
বারবার যাওয়া আসা সে রঙীন দিন
ধরা থাকে চিত্রপটে ৷
এখনো দেখতে পাই মনে হয় এই ত সেদিন ৷
লিমেরিক
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
লিমেরিক
ঠাকুরদাদার মামার বাড়ী ঠাকুরনগর ছিল ,
রক্ত জবা দেখতে সেথা আসেন গ্যালিলিও ;
ইচ্ছে নিয়ে করবেন চাষ
সঙ্গে এলেন কোপারনিকাস
জাহাজ ভরে সঙ্গে নিলেন চোদ্দ হাজার কিলো ৷
-------------
বললে সেদিন সকালবেলা নিত্যানন্দ খুড়ো
প্রতিদিনই হচ্ছি আমি একটু করে বুড়ো ৷
দাঁত গুলো সব এক এক করে
নিয়ম মতো পড়ছে ঝোরে
ভাবছি এখন কেমন করে খাব মাছের মুড়ো ৷
---------
এক বুড়ো বট গাছ বাড়ী ছিল নিমতে
সেই গাছে বাস করে টিয়া পাখী তিনটে
একদিন রাত্রিরে
আকাশের বুক চিরে
বিদ্যুৎ ছুটে এসে দিল রাম চিমটে ৷
--------------------
এগুলো ১৯৭১ সালে লেখা : শ্রদ্ধেয় প্রয়াত কবি শান্তশীল দাসের অনুপ্রেরণায়
যদি জানতাম
Thursday, May 17, 2018, 3:04 PM
যদি জানতাম
তুমি চলে যাবে জানলে
অর্ধেক আকাশ আমি তোমাকে দিতাম ;
প্রিয়তম মানালীতে হাতে হাত রেখে
ত্রিরিশ বছর ঘুরে ফিরে দেখতাম ;
নাবলা কথার রেশ ,না ছোওঁয়া শরীর
আবার নতুন করে সাজিয়ে নিতাম ৷
তুমি যাবে জানলে
আকাশের বুক চিড়ে পদ্ম ফোটাতাম
সমুদ্রের গভীরে এক ঘর নিয়ে
সুখের চাদরে ঘেরা ঝিনুকের বুকে
ভালবাসার রক্ত দিয়ে মুক্তো ফলাতাম ৷
তুমি যাবে জানলে
যমকে ঘরের বাইরে
মিষ্টি কথায় ভোলাতাম ;
আমাদের না বলা কথা
হাজার বছর ধরে বলেই যেতাম ৷
জীবনানন্দ দাশ ৷
Friday, May 18, 2018, 10:08 AM
জীবনানন্দ দাশ ৷
পঞ্চাশ বছর আগে হেমম্তের এক ম্লান বিকেলে
নাটোরের বিদগ্ধ কবি অকস্মৎ তারাদের ভীরে ৷
বৃদ্ধ পেচাঁ বসে ছিল হিজলের ডালে কিংবা ছাদের কার্নিশে
সোনালী ডানার চিল ক্লান্ত হয়ে অবশেষে কোথায় আকাশে ৷
পাখীর নীরের মতো চোখ তুলে চেয়ে ছিল বনলতা সেন
তবু তুমি চলে গেলে মিটিয়ে জীবনের সব লেন দেন ৷
কাঠাঁলী চাপার ফুলে চড়াই পাখীর ঠোট ছিল নাকি গোজাঁ
বাংলার ক্ষেতে ক্ষেতে ঝরছিল খই আর মৌরির ধান
হেমন্তের মরা রৌদ্রে শালিখেরা ভীড় করে এসেছিল বুঝি
বাসমতী চালে ধোয়া সাদা হাত কিশোরীর রেখেছিল বুকে ৷
মৃত নক্ষত্রের বুকে কুয়াসায় ভেসে ভেসে অবশেষে
এসেছিলে এই খানে কার্তিকের নবান্নের দেশে
শংখচিল শালিক কিংবা ভোরে ডাকা কাক
লক্ষ্মীপেচাঁ ডেকে যায় কদমের ডালে বসে রাত্রী গভীরে
বাংলার নদী ,মাঠ ঘাট সর্বত্র তুমি আছো ৷
তুমি আছো ধানসিড়ি নদীটীর তীরে ৷
বি.দ্র :গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা , ২০০২ সালে রচিত ৷
যদি
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
যদি
আকাশ যদি ছন্দ হয়ে ভর করত আমার হাতে
বৃষ্টি যদি নাচত ভুলে টিনের চালে এই প্রভাতে
আমার তবে স্ফূ্তি হোত
ভর্তি হোত খাতা যতো
বই র পরে বই বেরতো নাম কিনতাম কয়টি রাতে ৷
পাখীর গানে আমার হৃদয় ভরতো যদি দুটো বেলাই
কুলু কুলু শব্দে নদী নিত্য যদি করতো খেলাই
কাব্য তখন আমার হতো
বিদ্ব জনের মনের মতো
নুতন নুতন তত্ত্ব কত ভিরতো এসে কাব্যে মেলাই ৷
আমার যদি চাকরি হতো হাজার টাকা মাইনে কোথাও
কিলবিলিয়ে জুটতো লেখা লিখতে হতো আঙুল ব্যথাও
আমার যদি থাকত বাড়ী
ঠান্ডা করা মস্ত গাড়ী
তবে আমার ছুটত লেখা পাল্টে দিত সমাজ প্রথাও ৷
---------
বি.দ্র: ১৯৭১ সালে লেখা ,কলেজ ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছিল
কর্মযজ্ঞ
Thursday, May 17, 2018, 5:21 PM
...কর্মযজ্ঞ
সকালে বাতাস মন্দ মধুর
অপরূপ মোহময়
বর্ণ গন্ধ লাবন্য মেখে
ফুল কত ফুটে রয় ৷
পাখীর কূজন ফুলের সুরভী
স্নিগ্ধ মমতামাখা
ভেবেছ কখনও কিসের জন্য
এত আয়োজন রাখা ?
ভেবেছ কখনো অপ্সরা ওই
ফুলের জন্ম কথা ?
ছোট্ট কুড়িটী গোপনে কেদেঁছে ,
অস্হির নীরবতা ৷
কত সাধনার অমৃত ফল তিলেতিলে সঞ্চয়
কি ছিল পিছনে ভেবেছ কখনও
কেন হল তার জয় ?
ঘুমিয়ে কখনও ফোটান যেতনা
সুরভিত ঔ প্রাণ
অবিরাম তাকে জপিতে হয়েছে
জাগিবার মহা গান ৷
নদী উদ্দাম কলকল ছোটে
বন্ধন হীন ধারা
গতি যদি হয় দিশাহীন তবে
বালুকাতে হবে হারা ৷
জীবনের এই কর্মযজ্ঞে
নিজেকে ব্যাপ্ত কর
ফুলের মতন ফুটিয়া উঠিয়া
সুরভিত কর প্রাণ ,
তটিনীর মতো হও দু্র্বার সূর্য্য জ্যোতির্ময়
মানুষের মাঝে মানুষের কাজে
হয়ে ওঠো নির্ভয় ৷
ঈশ্বরের সমাধি
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
ঈশ্বরের সমাধি
ঈশ্বরের অস্তিত্বকে নিষাদের তীর ছুড়ে
মনের জঙ্গলে আমি শেষ করে দেব ৷
আর যেন বারবার লোভে কিংবা অনুরোধে
তোমার সত্বাকে আমি কিছুতে না মানি ৷
প্রকৃতির রহস্য আজ কিছু বাকি নেই
তবে কেন অহরহ মিথ্যে সংশয় ?
বিজ্ঞান আর যুক্তি দিয়ে সমস্ত খন্ডন
ভগবান কল্পনায় অর্বাচীন মন ৷
ঈশ্বরের অস্তিত্বকে মনের জানালা দিয়ে
ঠিক আমি ঠেলে ফেলে দেব ৷
প্রতিটি মুহূ্র্ত্তে নত আমার ব্যক্তিত্ব
কাল্পনিক পায়ে কেন মিছে মারা যাবে ?
মিশরের পিরামিডে ঈশ্বরের কবরের করেছি বিধান ৷
উৎসবের কলকাতা
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
উৎসবের কলকাতা
রাতের কোলকাতা শারদ উৎসবে মত্ত কোলকাতা
কর্কট রোগের কষ্ট ,এডসর কথা,
হাজার বাতীর রোদে ,হাজার গানের শব্দে
ভুলে গেছে ৷
প্যান্ডাল একদম কাশী বিশ্বনাথ
যুরী বিচারে এক নম্বর ৷
চারদিনের বঙ্গ বিলাস ৷ লক্ষ লক্ষ নয়ছয় ৷
সারাবছরের শিল্প প্রতিভা ,আলোর কারসাজী ,
সব ভেঙ্গে নির্লজ্জ বিসর্জন বিজয়া দশমী ৷
কয়েকটা তাজমহল অনায়াসে করা যায় খরচ বাচাঁও
প্রতিভা ও অর্থের লজ্জাকর অপচয় ,দূষণ প্রচুর ৷
সুন্দরী শরৎকে দেখে ঈ্র্শাকাতর কলকাতা ৷...
মৃত্যু পথযাত্রী কলকাতা ৷
মগ্ন হয়ে আছে ব্যর্থ প্রচেষ্টায় ৷
কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে একান্ত নিষ্ঠায় ৷
অদৃশ্য ভগ্নদূত ৷
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
অদৃশ্য ভগ্নদূত ৷
অফিসে রোজ যেতে হয় ,
ধূলো,ময়লা আর ডিজেলের ধোঁয়া
রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম,
মিছিল মিটিংয়ে বিদ্ধ সমস্ত শহর ৷
সকালে বাজারে যাই ব্যাগ হাতে
তাড়াতাড়ি চা খাওয়ার পর
যদিও বুকের বা দিকে ব্যাথা ,
ভুুলে থাকি সারাক্ষণ ৷
ডাক্তারের উপদেশে সিগারেট
অবশেষে বন্ধুত্ব হারায়
প্র্র্র্রাণায়াম,ক্রাটিগাস
সর্বদা সাবধান ,খাওয়া পবিমিত ৷
বুকের ব্যথা কমে গেলে শেষে
আবার ধরাই সিগারেট
এমনি করে লুকোচুরি খেলি
জীবন কখনও মৃত্যু ৷
দিনরাত্রি আমার পিছনে
কে যেন ছায়ার মতো
কারো অদৃশ্য হাত আমার কাধের 'পর
সযত্নে রক্ষিত ৷
মিনিবাসে রূপসীর খোলা পিঠ
সমুদ্রের বেলাভূমি ,
আমাকে বিদ্ধ করে
নিয়ে যায় দীঘার সৈকতে ৷
ডিজেলের ধোয়া যেই নাকে যায় বুকে ব্যথা ওঠে
অদৃশ্য ভগ্নদূত হেসে ওঠে, বিদায় জানায় ৷
মহাসমুদ্রের গান
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
সমুদ্রের বেলভূমি নিঃশব্দে মাড়িয়ে,
লাল কাঁকড়াদের দেশ ছাড়িয়ে
সন্ধার অন্ধকারে সমুদ্রের লোণা জলে
চলো পা ডোবাই ৷
অনন্ত যৌবনা কুমারী ঢেউ
পদতলে আসে,
সঙ্গোপনে প্রেম জানায়
কোথাও নিয়ে যেতে চায় ,
কোন গোপন ঠিকানায় ৷
হোটেলের জানালায় হুহু করে
ঢুকে পড়ে উদাসী বাতাস
আমাকে জাপটে ধরে
প্রেয়সীর মতো দেয় উষ্ণ চুম্বন
ফিসফিস কত কথা
অনন্ত রহস্যে ঢাকা ,
আহ্বান করে যেতে দূর নীলাকাশ ৷
ট্রেনে বাসে যেতে যেতে
একঘেয়ে মৌন মিছিল ,
কারো চোখে হাসি নেই,
বিরক্তির হিমেল পরশ ৷
অন্তহীন নীলাকাশে লক্ষ নক্ষত্র
জেগে আছে কালহীন অনন্ত সময় ৷
সমুদ্রের লোণা জলে পা ডুবিয়ে
চলো বসি
সারা রাত মহাসমুদ্রের গান
আর তুমি ঊর্বষী।
পরশমণি ৷
Thursday, May 17, 2018, 3:05 PM
পরশমণি ৷
বাসে উঠলে একটাই স্বপ্ন
কোন সীটে বসা যায়
কোন রমনীর উষ্ণ শরীর ঘেসে
দাঁড়ানো যায় অবজ্ঞায় ৷
বাসের ঝাকুনী
হঠাৎ হাওয়ার ব্রেক
রমনীয় ঘ্রাণটুকু শুষে নাও প্রাণে ৷
বসতে না পারলে দুঃখ নেই ,
আনন্দের হাট সরবত্র ছডিয়ে ৷
বাসে উঠলে শুধুই মতলব
কোন সীট হবে খালি৷
কাকচরিত্র বুঝতে শেখ,
লজজার মাথা খেয়ে জেনে নাও
কোথায় নামবে কখন ৷
কাধেঁ রাখবে একটা ঝুলন্ত ব্যাগ
মস্ত ঢাউস
সেটা দিয়ে সন্তর্পনে
গুতো দিয়ে চলে যাও
অনদরমহলে ,
প্রারথিত আঘ্রাণ নিতে ৷
মেয়েদের কাঁধে একটা হাতে একটা
অবশ্যই দুটো ব্যাগ থাকা চাই
কী এক রহস্য আছে ,
একদিন খুলে দেখে নিতে হবে ৷
যাত্রীদের য্ন্ত্রর্ণা বাড়ে ,বাস যত আস্তে চলে
রাস্তায় বিষঁধোয়া ,সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত ৷
এর মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে স্বপ্ন দেখে জীবন সৈনিক
কাঙ্খিত পরশমণি হাতের মুঠোয় প্রায় হঠাৎ সজীব ৷...
তখন যাওয়ার সময়
ReplyDelete- নিখিল বিশ্বাস ।
তখন যাওয়ার সময়
সময় প্রসন্ন হলে আশে পাশে মানুষ ও গ্রহ
সবাই সাহায্যের জন্য বাড়িয়ে দেবে হাত
তুমি না চাইতেই ৷
তারপর যখন একদিন উল্টো হাওয়া বইবে
পোড়া শোল মাছ ও লাফিয়ে পালাবে নদীতে ।
পরিধেয় কাপড় খুলে ধরতে যাবে হাঁস
তোমাকে উলঙ্গ রেখে পালাবে ;
ভাগ্যের এমনই পরিহাস ।
ভাগ্যের চাঁকা একদিন ঘুরবে
চাই ধৈর্য্য ও বল ।
সুসময় আসবে ঠিক ৷
সব না পাওয়ার ব্যথা
একদিন দূর হবে ।
অর্থ ,যশ ও সুখ সব এসে ধরা দেবে ৷
কিন্তু তখন যে যাবার সময় ;
তরী নিয়ে ঘাটে বসে ভাগ্য বিধাতা ;
চাওয়া পাওয়া সব হিসাবের থলি
সঙ্গে নিয়ে তৈরী হও ; যেতে হবে বহু দূর
অজানা সে পথ ৷
নির্জণ দ্বীপে
ReplyDelete- নিখিল বিশ্বাস ।
নির্জণ দ্বীপে
এভাবে নির্জণ দ্বীপে রবিনসনস ক্রুশো হয়ে জীবন কাটাবে ?
চতুর্দিকে মন্ত্র উচ্চারণ হিন্দী গানের সুর মানুষ নাচায় ৷
তুমি স্বপ্নে জাগো শব্দরা বন্দী আছে যাদুর মায়ায়
ইতিহাস উঠে আসে কী এক ধোঁয়ার জাল চতুর্দিকে ৷
আঠারো বয়সটাই পাঁচ জন বন্ধুদের সঙ্গে ডুবে থাকা
ক্লাবে কয়েক ঘন্টা ,রাস্তায় কিংবা হয়তো কফির ধোঁয়ায়
জীবনটা দেখে নেওয়া দু একটা ফাঁক ফোঁক পাতার আড়ালে
সরীসৃপ ক্রমান্বয়ে চলে যাচ্ছে ফিটফাট গাধার জীবনে ৷
চতুর্দিকে বৃষ্টি হয় ঝমঝম সাদা আলো চাঁদের আড়ালে
জানলার বাইরে দেখো উদ্ভীন্ন যুবতী রাত একা বসে আছে
কবিতার বই নিয়ে রজনীগন্ধার মতো তোমার অপেক্ষায় ৷
---------
রচনাকাল 26/1/1972
জন্তুরা তবু সুখে
ReplyDelete- নিখিল বিশ্বাস ।
জন্তুরা তবু সুখে
বাড়ীর ছেলে বেড়ালটা সভ্য ভদ্র, সারাক্ষণ থাকে ভয়ে
কখন মস্তান হুলো বাঘ বিক্রমে এসে ঘাড়টা দেবে মটকে
মেনি বেড়াল দুটোর ভয় নেই তারা সম্রাজ্ঞীর মতো বসে
হুমদো হুলো বেজায় ভদ্র ,প্রেমিকের মতো থাকে চেয়ে ৷
রাস্তাঘাটে সারমেয়দের দেখি একই বিচার ৷
আমাদের সভ্য সমাজ নিয়মটা নিয়েছে পাল্টে
বাচ্চা মেয়ে তার মা ,ঠাকুমা কেউ নিরাপদ নয় ;
দুপেয়ে হুলো বেড়াল গুলো কাউকেই ছাড়ছে না ;
আইনের বেড়ার জাল নিয়ে খেলছে ছিনিমিনি ।
নারীকে আগলে রাখা পুরুষের আজন্ম নিয়ম
হোক না সে পরনারী না দিক সে প্রেম ৷
জবরদস্তী করার যুগ চলে গছে কবে ই
রাণী পদ্মিনী করে বিচারের জয়ধ্বনি ৷
পসকো নেই আইন নেই জন্তুরা তবু সুখে
থানা পুলিশ আইন তবুও ভয় আমাদের বুকে
সংস্কৃতির পীঠস্হান শহরে জংগল
আমরা বৃথাই গাই কৃষ্টির জয়গান ৷
পদ্ম পাতায় জল
ReplyDelete- নিখিল বিশ্বাস ।
পদ্ম পাতায় জল
পদ্ম পাতায় জল টলমল ,জীবনের পরমায়ু
সোনায় মোড়া সুখের সংসার শুধু মরিচীকা ।
প্রেম ভালোবাসা ,টাকা অমেয় খুশীর উৎসব
না চাইতেই ঈশ্বর দুহাত ভরে শুধু দিয়েছেন ।
হঠাৎ শরীর খারাপ কাশি,ব্যথা অসহ্য যন্ত্রণা
ডাক্তার ওষুধ চলে নিয়মিত ,কিছু কমে কিন্তু আবার ,
ওষুধ পাল্টে যায় ,শেষে পরীক্ষাগারে কয়েকটা টেষ্ট ।
অবশেষে ডাক্তার ভ্রূ কোচকায় ,এ কঠিন রোগ সারবার নয় ।
এককোনে ডেকে দীপাকে নিভৃতে বলে মন শক্ত করো
এখন শুধু দিন গুনবার পালা ,কঠিন সময় ।
আকাশ ভেঙ্গে পড়ে দীপার মাথায় হঠাৎ
বিনা মেঘে বজ্রাঘাত বললেও সবটা বোঝানো যাবে না ।
এ কঠিন পরিস্হিতি বুঝবার নয় ,হৃদপিন্ড খুবলে নেওয়া
অপারেশন টেবিলে শোওয়া অর্ধমৃত একটা মানুষ ।
চালু দোকানে বসবার কেউ নেই ,ব্যাংকের টাকা ভেঙ্গে খাওয়া
এবং চিকিৎসা করা ,দুই চার পাঁচ হাজার প্রতিদিন ।
তবু যদি লোকটাকে বাঁচানো যায় ,ডাক্তারই সব নয়
ভগবান এখনো আছে চন্দ্র সূর্য্য ওঠে প্রতিদিন ,পৃথিবী এখনো ঘোরে ।
আস্ত কালো পাঁঠা মানত করে কালীঘাটে এবং তারাপীঠ
কখনও অন্যায় করিনি ঠকাইনি কারো পাঁচটা পয়সা
সৎপথে থেকে সৎভাবে বেঁচে এই কি হতে পারে পরিনাম ?
তারকেশ্বর গিয়ে দন্ডী কেটে শেষে জানায় শেষ অভিলাষ ।
ওর বাঁচবার ভীষণ ইচ্ছে,পঞ্চাশ হয়নি এখনো ,বাচ্চাগুলো ছোট ।
কিন্তু ঈশ্বর বড়ই নিষ্ঠুর শোনেনা কারো কথা ।
সকালে সূর্য্য ওঠে বাগানে কোকিল ডাকে ফোটে হাস্নুহানা
কোন উপাচার মানে না চিত্রগুপ্ত, স্বর্গের কোন দেবদেবী ।
দীপাকে অকুলসাগরে ভাসিয়ে ছোট দুই পুত্র রেখে সাঙ্গ ভবলীলা ।
যখন দেবার ছিল দুহাত ভরে দিয়েছেন বিশ্ববিধাতা
এখন নেবার সময় তার , ঘড়ির হিসেবমতো ,অতএব
আমাদের উপাচার , প্রার্থনা ,বিলাপ কিংবা অভিশাপ
যতই মাথা কোট হৃদপিন্ড উপড়ে দাও সব যাবে বৃথা ।
------------------------------
কবিতাটি ৭০ বার পঠিত হয়েছে।
যুদ্ধ জমবে
ReplyDelete- নিখিল বিশ্বাস ।
যুদ্ধ জমবে
সব ঝড় থেমে যাবে কাল রাত্রি কেটে যাবে
আবার নতুন সূর্য্য উঠবে নতুন সকাল ৷
সব ক্লেদ সব গ্লানি ধুয়ে মুছে নিয়ে
চাবুক সঙ্গে নিয়ে চড়ো তেজী ঘোড়া ৷
যেতে হবে অনেকটা পথ চড়াই উৎরাই খাড়ি
পার হতে হবে ঠাট্টা বিদ্রুপের শানিত তরবারী ৷
কারো পাকা ধানের ক্ষেতে দিইনি মই
ভীমরূলের চাঁকে শুধু মেরেছি পাথরটাই ৷
প্রত্যাঘাত করবেই তারা আজ না হোক কাল
মানীর সম্মান হানী করতে পারিনি আড়াল ৷
কৌরবরা একশো ভাই কৃষ্ণের নারায়নী সেনা
যদি কৃষ্ণ থাকে সাথে যুদ্ধ সহজে হারবো না ৷
কবিতাটি ৯৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়:২৪/০৫/২০১৮, ০৮:১৬ মি: